বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্ষা প্রবেশ করলেও এর প্রভাবে এখনো পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকেনি দক্ষিণবঙ্গ। অপরদিকে, উত্তরের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে হলেও কলকাতা সহ দক্ষিণের একাধিক জেলায় বজায় রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আগামী দু-তিন দিনে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও গুমোট ভাব কমার সম্ভাবনা খুব কম। তবে হাওয়া অফিসের মতে, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের পরিমান কম হলেই দক্ষিণে শুরু হবে বৃষ্টিপাত। ফলে সপ্তাহের শেষ দিকে কলকাতাবাসী ভারী বৃষ্টিতে ভাসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আবহাওয়ার খবর
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩৪.৩° সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২৭.৭° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৭৯%
বাতাস : ১০ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৭০%
আজকের আবহাওয়া
আকাশে মেঘ থাকলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকার কারণে গুমোট ভাবের অনুভূতি হবে সারাদিন। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও গরমের হাত থেকে নিস্তার পাবে না মানুষ। জুলাই মাসের গোড়া থেকে অবশ্য আবহাওয়ায় বড়সড় বদল আসবে বলে সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং বর্ধমানের একাধিক প্রান্তে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৭৯%।
উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের আবহাওয়া
গোটা দক্ষিনবঙ্গ জুড়ে বর্তমানে অস্বস্তিকর গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ। কয়েকদিন পূর্বে বর্ষা প্রবেশ করলেও এর প্রভাবে এখনো পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকেনি মানুষ। আগামী দু-তিন দিন এহেন পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে কলকাতা সহ দক্ষিণের একাধিক প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। অপরদিকে, পুরুলিয়া, বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। তবে হাওয়া অফিসের মতে, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের পরিমাণ কমলে দক্ষিণের একাধিক প্রান্তে স্বমহিমায় ফিরবে বর্ষা। এক্ষেত্রে জুলাই মাসের গোড়া থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে বলে মতপ্রকাশ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
অপরদিকে, সময়ের অনেক আগেই বর্ষা এসে প্রবেশ করে উত্তরবঙ্গে। ফলে জুন মাসের শুরু থেকেই অতিভারী বৃষ্টিতে ভেজে উত্তরের একাধিক জেলা। মাঝের কয়েকদিনে সেই দুর্যোগের পরিমাণ কিছুটা কমলেও বর্তমানে পুনরায় দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের মত জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা ও ধসের পাশাপাশি লাল সর্তকতা পর্যন্ত জারি করা হয়। আগামী দুদিন এহেন পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তবে এরপর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামীকালের আবহাওয়া
আগামী কয়েকদিনে অল্প পরিমাণে বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে গুমোট গরম বজায় থাকবে। এক্ষেত্রে সপ্তাহের শেষে আবহাওয়ায় বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। সেক্ষেত্রে কলকাতা সহ দক্ষিণের বিভিন্ন প্রান্তে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।