বাংলা হান্ট ডেস্ক : নভেম্বরের শেষ বাঙালির হেঁশেল জুড়ে ম ম করছে কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুর দমের গন্ধ। মিঠে রোদে ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে জমে যাবে জাস্ট। তবে বাঙালি যখন সবেমাত্র শীতের (Winter) সংসার সাজাতে শুরু করেছে, তখনই খারাপ খবর দিল হাওয়া অফিস (Weather Update) । কারণ বুধবার সকাল থেকে মুখ গোমড়া করে রেখেছে বাংলার আকাশ।
না আছে শীতের মিঠে রোদ আর না আছে হেমন্তের হাওয়া। সোয়েটার তো দূরের কথা, হালকা পোশাক পরেই প্রাণ আই ঢাই অবস্থা যেন। শীতের দেখা তো নেইই, উল্টে হাওয়া অফিস বলছে, একধাক্কায় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। এই খবরের পর স্বাভাবিকভাবেই খানিক বিষন্ন হয়ে গেছে শীতপ্রেমী মানুষরা।
কলকাতার আবহাওয়া
মৌসম ভবনের (India Meteorological Department) খবর, গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে গেছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এবং আগামী পাঁচ-সাত দিনে শীতের আমেজ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও মালাক্কা স্ট্রেট এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের কাছে শক্তি বাড়াচ্ছে এটি। খুব শীঘ্রই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৯ নভেম্বর বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে অতি-গভীর নিম্নচাপ। যার অভিমুখ থাকবে, পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে। এরপর আবারও গতি পরিবর্তন করে শক্তি বাড়াতে পারে এই নিম্নচাপটি। এরপর এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত আগামী শুক্রবার নাগাদ। যার নাম দেওয়া হয়েছে মিগজাউম (Michaung), মায়ানমারের দেওয়া এই নাম।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) কথা বললে, আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ। দিনের দিকে তাপমাত্রা কমলেও বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে সামান্য উষ্ণতা। তবে সপ্তাহান্তে হাওয়া বদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের আকাশও এখন বেশ পরিস্কার এবং ঝরঝরে।
ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
তবে ঘুর্নিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। এছাড়াও বেশকিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা মৌসম ভবন। সেইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উপরে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী ১ ডিসেম্বর ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা পৌঁছেছে মৎস্যজীবিদের কাছে।