বাংলাহান্ট ডেস্ক : সবুজ বোতলে ভরা পানীয়। চড়া নেশা হোক বা নাই হোক গলা ভেজাতে চান কম বেশী সবাই। সারাদিনের অফিসের চাপের পর ছুটি পেয়ে অথবা বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে গিয়ে, একটু রিলাক্স করে নিতে সুরার মত সাথী আর কেইবা আছে! গরম কাল এলেই আমদের রাজ্যে বিয়ারের চাহিদা পৌঁছে যায় তুঙ্গে। তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে সূরা প্রেমিকরা গলা ভেজান ঠান্ডা বিয়ারে। কিন্তু এ বছর রাজ্যে বিয়ার বিক্রি গিয়ে ঠেকেছে রেকর্ড মাত্রায়। মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিনমাসে বিয়ার বিক্রি থেকে আবগারি দপ্তরের ঘরে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার রাজস্ব।
লকডাউন পরবর্তী সময় আয় বাড়াতে সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সরকার। দেশি বিদেশি সব ধরনের মদে মূল্য নীতিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, এই মূল্য নীতি পরিবর্তনের ফলেই মাত্র তিন মাসে মদ বিক্রি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা।
আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, গত বছর থেকেই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় দাম কমানোর পক্ষে রাজ্য সরকার। তাই বিয়ার, ওয়াইন এর দাম কিছুটা কমানো হয়। সরকার চাইছিল অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিক্রয় বাড়াতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছে সূরাপ্রেমীরা। সরকারের সে চেষ্টা সফল করে বেড়েছে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিক্রি। তবে রাম, হুইস্কি থেকে অনেক অংশেই বেড়েছে বিয়ারের বিক্রি।
বর্তমানে সারা রাজ্যে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ এর কাছাকাছি অফ শপ আছে। সঙ্কটকালে কম সময়ে এতো বিপুল লাভ যে অর্থনীতিকে খানিকটা চাঙ্গা করবে তা বলাই বাহুল্য।