এ যেন শনির দশা কাটল শনিবারে! ৬০ টাকার লটারিতেই কোটি টাকার প্রাপ্তিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকেই লটারির (Lottery) টিকিট কাটেন। কিন্তু লটারিতে জেতেন কতজন? সবাই বলে লটারিতে জেতার জন্য নাকি ভাগ্য চাই। কিন্তু কত জনেরইবা লটারি জেতার ভাগ্য হয় বলুন তো! এমন কত মানুষ আছেন যারা এই লটারির জন্য কত কত টাকা খরচ করেছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়েনি। আবার কেউ কেউ আছেন যারা হয়তো পকেট থেকে ১০০ টাকাও খসান নি, তবুও ঘরে এসেছে কোটি কোটি টাকা।

বলা বাহুল্য, কেশপুর ব্লকের মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব স্বপন পণ্ডিত অবশ্য দ্বিতীয় তালিকাতেই পড়েছেন। লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সচিব। উন্নয়নের তহবিল নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার কারবার করলেও স্বপন পণ্ডিত অবশ্য কোনকালেই ভাবেননি লটারি কেটেই তার কপাল খুলবে। তবে, শেষপর্যন্ত ডেইলি লটারির সৌজন্যে একবারে ‘এক কোটি’ টাকা জিতেছেন।

অতীতে মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো পুরস্কার জিতলেও এবার যেন কেল্লাফতে! মাত্র ষাট টাকা দিয়ে টিকিট কাটতেই যেন ভাগ্য ফিরে গিয়েছে তার। ফলে, কোটি টাকা পেয়ে যাওয়ার পর এত টাকা নিয়ে কি করবেন তিনি ভেবেই উঠতে পারছেন না। জানা গিয়েছে, স্বপন বাবু পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) ঘাটালের মহারাজপুরের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কেশপুর ব্লকের মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত তিনি।

lottery ticket 12d

স্বপন বাবু অবশ্য বলছেন, প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। তার কথায়, গত ৩-৪ বছর ধরে প্রায়ই লটারির টিকিট কিনতেন। এর আগেও লটারি কেটে পুরস্কার হিসেবে ৪৫০০০ টাকা পেয়েছিলেন। তবে, শনিবার ফের ভাগ্যদেবী মুখ তুলে চাইতেই তার ভাগ্যে জুটে যায় কোটি টাকা। টাকা জেতার খবর জানতে পেরেই স্বপন বাবু তড়িঘড়ি টিকিটের নম্বর মেলান। তবে মোটা অঙ্কের টাকা ঘরে আসতেই উচ্ছ্বসিত স্বপন বাবু থেকে শুরু করে তার পরিবারের সবাই। লোকের মুখে একটাই কথা, ‘শনিবারে যেন শনির দশা কেটে গেল’ ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর