সাগরদিঘীতে হার কেন? মমতার তৈরি কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য! পঞ্চায়েতের আগে উদ্বেগে দল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাগরদিঘী উপনির্বাচনের (Sagardighi By Election) হার বেশ ধাক্কা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। তবে, মূলত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘাড়েই দায় চাপাল মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি কমিটি। সাগরদিঘির নির্বাচনে হারের কারণ খুঁজতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার রিপোর্টেই এমন দাবি করা হয়েছে বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর।

জানা যাচ্ছে, কমিটি অনুসন্ধান করে দেখেছে হারের কারণ একাধিক। তবে, মূলত স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সঠিক প্রচার ও সুবিধা থেকে বঞ্চনার কারণে স্থানীয় মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বলে মনে করেছে কমিটি। কিন্তু উলটো সুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। কমিটির এই রিপোর্টকে ‘মনগড়া রিপোর্ট’ বলে দাবি বিক্ষুব্ধ জেলা নেতৃত্বের একাংশের।

২ মার্চ সাগরদিঘির ফল প্রকাশের পর হারের কারণ পর্যালোচনা করতে ৫ সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, গোলাম রব্বানি, জাভেদ খানদের নিয়ে তৈরি হয় এই কমিটি। বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর সাগরদিঘির হারের কারণ নিয়ে তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। খুব শীঘ্রই সেই রিপোর্ট তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করবেন।

mamata

সূত্রের খবর, কমিটির তদন্তে সাগরদিঘির হারের জন্য একাধিক কারণ উঠে এসেছে। তবে, মূলত দুটি বিষয়কে তারা হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন। প্রথমত, স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়হীনতা। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের নানা উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চনার কারণে সব সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষোভ।

কমিটির দাবি সাগরদিঘির নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার পর, দলীয় নেতৃত্ব একযোগে কাজ করেনি। সাংসদ,বিধায়ক থেকে শুরু করে জেলা, ব্লক স্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন সমন্বয় ছিল না। দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর, দলের অন্দরেই তৈরি হয়ে যায় ভিন্ন মত। এরই সঙ্গে, আবাস যোজনা থেকে শিক্ষার মতো নানা ক্ষেত্রে শাসক দলের দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের ফলে মানুষের মনে তৈরি ক্ষোভের তৈরি হয়। যার প্রতক্ষ প্রভাব পরে ব্যালট বক্সে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর