বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুনে মনে হতেই পারে এই বোধ হয় বাকি ছিল। আর কেনই বা মনে হবে না। যা কাণ্ড চলছে দেশজুড়ে। একদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল,অন্যদিকে এনআরসি। যা ঘিরে একেবারে জোড়া ঘা লেগেছে দেশবাসীর কপালে। বিশেষ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণযনের পর। যেহেতু হিনদুদের স্থান দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে তো মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ। যদিও ভারতীয় মুসলিমদের ওপরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কার কথা শুনছে কে। তবে এসবের মাঝে আবারও এক কাণ্ড। কানাঘুষো চলছে এবার নাকি দেশের ব্যাঙ্কও আপনার কাছ থেকে ধর্ম জানতে পারে। এতদিন অবধি আপনি কোন ধর্ম তা হয়তো চাকরির ফর্মের ক্ষেত্রেই জানা হতে কখনও কখনও। কিন্তু এবার সেই সীমাবদ্ধতা বড়ছে।জানা গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে নাকি ইতিমধ্যেই ফেমা আইনের সংশোধন করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে আগামী দিনে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে পরিবর্তন হতে পারে।
আর তাই ভোল বদলাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। অর্থাত্ এক নবতম রূপে ধরা দিতে পারে দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর। তাই তো ঠিক নাগরিকত্বং সংশোধনী আইনের মতোই ব্যাঙ্কিং সেক্টরে শর্নার্থীদের চিহ্নিত করা হবে। আর তারপর তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে সুবিধা। তাই এখন না হলেও ভিবিষ্যতে নিজেদের নো ইওর কাস্টোমার ফর্মে গ্রাহকদের ধর্ম জানতে একটি অপশন রাখতে পারে ব্যাঙ্ক।
তাই তো নয়া নিয়ম আনল আরবিআই।অর্থাত্ আরবিআইয়ের ফেমা আইনের জন্য লাভবান হবে হিন্দু, শিখ পার্সি, খ্রীষ্টান, জৌন ও বুদ্ধিস্টরা। যাদের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর তা আইনে পরিনত হয়েছে।
আর এরফলে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বদল এসেছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে আস সমস্ত হিন্দুদের যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে এসেছে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর এতেই উত্তপ্ত হয়েছে গোটা দেশ।