বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর দুর্গাপুজোর আগে বীরভূম ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দু’বছর পর ফের তাঁর উপস্থিতিতে বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে কালীপুজো হচ্ছে। কেষ্টর ‘প্রত্যাবর্তনে’র পর কীভাবে কালীপুজো হয় তা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন অনেকে। তবে অনুব্রত ফিরলেও কালীপুজোর সেই পুরনো জৌলুস চোখে পড়ল না!
কালীপুজোর দিন মা কালীর কাছে কী চাইলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)?
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে জাঁকজমক করে এই কালীপুজো (Kali Puja) করতেন তৃণমূল নেতা। সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলা হতো মায়ের মূর্তি। সকাল থেকে উপোস করে রাতে পুষ্পাঞ্জলি দিতেন অনুব্রত। এই বছরও পুজোয় আগাগোড়া ছিলেন তিনি। তবে অশৌচ থাকার কারণে মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করেননি। বাইরে দাঁড়িয়েই মাকে প্রণাম করেছেন।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেষ্ট বলেন, ‘আমি হিন্দুর ছেলে। সেই কারণে রীতি মেনে অশৌচ থাকার কারণে মন্দিরে প্রবেশ করিনি। দূর থেকেই মাকে নমস্কার করেছি’। মা কালীর কাছে কী প্রার্থনা করেছেন, সেটাও জানিয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।
আরও পড়ুনঃ আচমকাই গায়েব! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক পড়ুয়ার সঙ্গে যা হল … ফাঁস হতেই তোলপাড়
অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজোর রাজ্য জুড়ে ভালোরকম খ্যাতি রয়েছে। মা কালীর গায়ে ৫০০ ভরির বেশি গয়না পরানো হয়। নিজে হাতে মাকে সেই গয়না পরিয়ে দিতেন কেষ্ট। যদিও এবার তেমনটা হয়নি। অশৌচ থাকার কারণে দূর থেকেই পুজো দেখেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, ‘ভক্তদের দেওয়া গয়না। সব ওরাই পরায়। গত দু’বছর ধরে তো মাকে আমি কোনও গয়না পরাইনি। তবে মাকে বললাম, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে দেখো মা। তুমি সবার মঙ্গল করো। সবাইকে সুখী রেখো’।
রিপোর্ট বলছে, ১৯৮৮ সাল থেকে বোলপুরের এই দলীয় কার্যালয়ে মা কালীর পুজো হচ্ছে। কংগ্রেসে থাকাকালীনও কেষ্ট (Anubrata Mondal) এই পুজো করতেন বলে খবর। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার আগে অবধি পুজোর জৌলুস ছিল দেখার মতো। যদিও এবার সেই চেনা জাঁকজমক তেমন চোখে পড়েনি।