অবশেষে ফাঁস হল আসল কীর্তি! ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে তুকতাক করেন জামশেদপুরের কোচ, মিলল প্রমাণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কলিঙ্গ সুপার কাপে (Kalinga Super Cup 2024) এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালের বাধা কাটিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে এই দল। উল্লেখ্য যে, গত বুধবার সেমিফাইনালে তাদের মুখোমুখি হয় জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। সেখানেই জামশেদপুরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।

মূলত, সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে নবাগত বিদেশি ফুটবলার হিজাজি মাহেরের গোল পার্থক্য গড়ে দেয় ওই দুই দলের মধ্যে। তবে, জামশেদপুর ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেয়। তবে, এই ম্যাচে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

What did Jamshedpur's coach do to beat East Bengal

মূলত, ওইদিন ডাগআউটে থাকা জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিলের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি, এটাও বলা হচ্ছে যে, খালিদের তুকতাক নাকি ওই ম্যাচে কাজে দেয়নি। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠতে পারে যে বিষয়টি ঠিক কি ঘটেছে? আসলে ওই ম্যাচ চলাকালীন একটি নীল রুমাল ফুটবল প্রেমীদের পাশাপাশি মাঠে থাকা ক্যামেরার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: পাত্তা পাবে না আরব! এবার ভারতেই জলের দরে পেট্রোল-ডিজেল, দেশবাসীকে সুখবর দিতে চলেছেন আম্বানি

রুমালটি জামশেদপুর এফসির শিবিরের সামনে পড়ে ছিল। এমতাবস্থায়, রুমালটা কেন সেখানে ছিল সেটার সঠিক উত্তর কারও কাছে নেই। তবে, অনেকেই মনে করছেন যে, এটা আসলে খালিদের কাজ। এমনিতেই, “তুকতাক কোচ” হিসেবে জামিল পরিচিত রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এটা তাঁরই কাজ কিনা এখন সেই বিষয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও, শেষপর্যন্ত সমস্ত তুকতাককে উপেক্ষা করে ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: হাসিমুখে চোখের পলক ফেলছেন রামলালা! প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে এই “লীলা” দেখে মুগ্ধ ভক্তরা, ভাইরাল ভিডিও

জানিয়ে রাখি, মাহেরের গোলে সেমিফাইনালে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ডান পায়ে ট্যাপ করে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি তিনি। এর আগেও রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি গোল করার মাধ্যমে তিনি লাল-হলুদকে জিতিয়েছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর