বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সঙ্গীত জগৎকে কার্যত অনাথ করে চলে গিয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকার পর দেশবাসীকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি দেন নাইটিঙ্গেল। আজ লতা মঙ্গেশকরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
টানা কয়েক দশক ধরে নিজের সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে আট থেকে আশিকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। একাধিক ভারতীয় ভাষায় অগুন্তি জনপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর সুদীর্ঘ সঙ্গীত কেরিয়ারে। পেয়েছেন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন। বিশ্বের মঞ্চে ভারতকে উচ্চস্থানে বসিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
সুরসম্রাজ্ঞী আর সঙ্গীত তো একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু গান ছাড়া তাঁর আর কী প্রিয় ছিল জানেন? খাবার, হ্যাঁ কিংবদন্তি গায়িকা বেশ ভোজনরসিক ছিলেন বলে জানা যায়। কোন কোন খাবার প্রিয় ছিল তাঁর? কোন কোন খাবার আবার একেবারেই ছুঁয়ে দেখতেন না তিনি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
জানলে অবাক হয়ে যাবেন, নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা এবং সঙ্গীত সাধনা করলেও লতা মঙ্গেশকর ঝাল খাবারের ভক্ত ছিলেন। বিশেষ করে কাঁচালঙ্কা তাঁর প্রতিদিনের খাবারে থাকতোই। একথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের কারণেই ঝাল খাওয়া নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী।
আমিষ খাবার বেশি পছন্দ করতেন লতা মঙ্গেশকর। বোন প্রখ্যাত গায়িকা আশা ভোঁসলে একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতের শামি কাবাব আর ধনিয়া মাটন নাকি খুব প্রিয় ছিল দিদি লতার। কাঠ বা কয়লার উনুনে রান্না করা ভারতীয় খাবারই ভালবাসতেন তিনি। ঝালের পাশাপাশি মিষ্টিও একই রকম পছন্দ করতেন গায়িকা। তিনি জানিয়েছিলেন, কেশর দিয়ে গাজরের হালুয়া তাঁর বড্ড প্রিয় ছিল। এমনকি কেশর তিনি এতটাই ভালবাসতেন যে দুধে মিশিয়েও খেতেন।
নিত্যদিনের কিছু নিয়মও মেনে চলতেন লতা মঙ্গেশকর। ভোর ছটার সময়ে উঠে এক গ্লাস গরম জল খেতেন তিনি। এতে গলা ভাল থাকত। তারপর সাদাসিধা প্রাতরাশ করতেন। সকালে চা বা কফির সঙ্গে বিস্কুট ছিল গায়িকার প্রিয় খাবার। সাধারণ জীবনযাপনের মধ্যেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে বলে বিশ্বাস করতেন লতা মঙ্গেশকর।