“যতই খরচ হোক কৃষকদের স্বার্থ সবার আগে”, ট্রাম্পের চড়া শুল্কের প্রসঙ্গে কী জানালেন প্রধানমন্ত্রী?

Published on:

Published on:

What did Narendra Modi say about Donald Trump's high tariffs?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করার পর এবার বড় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এমএস স্বামীনাথন শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে পরোক্ষভাবে বলতে গিয়ে জানান যে, “খরচ যাই হোক না কেন, আমাদের কাছে, আমাদের কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

কী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi)?

প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, “কৃষক, জেলে এবং দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে যুক্ত চাষীদের স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত কখনও আপোস করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, এর জন্য আমাকে অনেক মূল্য দিতে হবে, তবে আমি এর জন্য প্রস্তুত।

এমএস স্বামীনাথন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এমএস স্বামীনাথন শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন যে, “অধ্যাপক স্বামীনাথনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহু বছরের পুরনো। অনেকেই গুজরাটের প্রাথমিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত।”

আরও পড়ুন: গত ২১ বছরে এশিয়া কাপে যা ঘটেনি, এবার সেটাই ঘটবে! মন খারাপ ক্রিকেট অনুরাগীদের

মোদী (Narendra Modi) বলেন, “আগে, খরা এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কৃষি সঙ্কটের সম্মুখীন হত এবং কচ্ছের মরুভূমি প্রসারিত হচ্ছিল। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন আমরা মাটির স্বাস্থ্য কার্ডের কাজ শুরু করেছিলাম। তারপর প্রফেসর স্বামীনাথন এতে আগ্রহ দেখান। তিনি খোলাখুলিভাবে আমাদের পরামর্শ দিলেন এবং পথ দেখালেন। তাঁর অবদানের কারণে, উদ্যোগটি অসাধারণ সাফল্য লাভ করে।এমএস স্বামীনাথন ছিলেন ভারতমাতার একজন প্রকৃত সন্তান।”

আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বেই বাড়ছে সঙ্কট? ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের! পৌঁছল ৫০ শতাংশে

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এমন কিছু ব্যক্তিত্ব আছেন যাঁদের অবদান কোনও একটি যুগ বা কোনও একটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। অধ্যাপক এমএস স্বামীনাথন ছিলেন এমনই একজন মহান বিজ্ঞানী। ভারতমাতার একজন প্রকৃত সন্তান। তিনি বিজ্ঞানকে জনসেবার মাধ্যম করে তুলেছিলেন। দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে তিনি তাঁর জীবনের লক্ষ্য করে তুলেছিলেন। তিনি এমন একটি চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন যা আগামী শতাব্দীতেও ভারতের নীতি এবং অগ্রাধিকারগুলিকে পরিচালিত করবে।”