Ekchokho.com 🇮🇳

অপারেশন সিঁদুর প্রভাব ফেলেনি ভারত-পাক বাণিজ্যে! “বিরাট” দাবি পাকিস্তানের

Published on:

Published on:

What did Pakistan say about trade with India

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল দেশ। পেহেলগাঁও ঘটনার পর ভারত প্রত্যাঘাত করেছিল পাকিস্তানে (Pakistan)। এমনকি, অপারেশন সিঁদুরের পর সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে ছিল দুই দেশ। কিন্তু এই ঘটনার পর পাকিস্তান দাবি করে অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারত (India)-পাক (Pakistan) বাণিজ্যের উপর প্রভাব পড়েনি। তারা আরও দাবি করে,অর্থমূল্যের নিরিখে বাণিজ্যের পরিমান বেড়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এমনই এক পরিসংখ্যান তুলে ধরল।

যুদ্ধের প্রভাব পড়েনি ভারত (India)-পাক বানিজ্যে

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’ একটি প্রতিবেদনে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই, ২৪ থেকে মে, ২৫) পাকিস্তানের আমদানি করা ভারতীয় পণ্যের অর্থমূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বেশি। অপরপক্ষে একই সময়ে ভারতে আমদানি করা পাকিস্তানি পণ্যের অর্থমূল্য মাত্র ৪ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার সামান্য বেশি।

এছাড়াও, এর আগের দুই অর্থবর্ষ যথাক্রমে ২০২৩-২৪ এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেও অব্যহত ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের বাণিজ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত থেকে আমদানি করা দ্রব্যের অর্থমূল্য ছিল ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬২৪ কোটি টাকার বেশি। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেই পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন দাবি করেছে, বিগত কয়েক বছরে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে নেমে এলেও ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ ক্রমশ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। এর চেয়েও অবাক করা তথ্য দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান।

What did Pakistan say about trade with India

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ শুভেন্দুর কাছে, ১৪ অগাস্ট ফের ‘রাত দখল’এর ডাক অভয়ার মায়ের

পেহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল। এমনকি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় পাকিস্তানের ব্যাঙ্কটি দাবি করেছে, যুদ্ধ চলার সময়ও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা অব্যাহত ছিল। এমনকি গত মে মাসেও ভারত থেকে পাকিস্তানে ১৪৫ কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। পাকিস্তানের (Pakistan) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি নয়া দিল্লি।