বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তথা IMF (International Monetary Fund) জানিয়েছে যে আগামী বছরগুলিতে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির মধ্যে থাকবে। মূলত, IMF তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক (WEO) রিপোর্টে, ২০২৫-২৬ সালে ভারতের GDP বৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। যা চিনের ৪.৮ শতাংশের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের প্রথম ত্রৈমাসিকের শক্তিশালী পারফরম্যান্স আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত উচ্চ শুল্কের প্রভাবকেও নিরপেক্ষ করেছে। এদিকে, এপ্রিলের তুলনায় এবারের অনুমান বেড়েছে। যা দেখায় যে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলেও ভারতের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক।
কী জানিয়েছে IMF (International Monetary Fund):
ভারত চিনের চেয়ে এগিয়ে থাকবে: IMF (International Monetary Fund) জানিয়েছে যে ভারতের বৃদ্ধি দেশীয় খরচ থেকে শুরু করে উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি এবং পরিষেবা খাতের সম্প্রসারণের দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে, রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে যে ২০২৬ সালে ভারতের বৃদ্ধি তথা গ্রোথ রেট কিছুটা কমে ৬.২ শতাংশ হতে পারে। কারণ বছরের শেষের দিকে প্রাথমিক গতি মন্থর হতে পারে। IMF-এর মতে, এই বর্ধিত পূর্বাভাস মূলত ২০২৬ অর্থবর্ষের শক্তিশালী শুরুর ফলাফল। উল্লেখ্য যে, ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারতের GDP ছিল ৬.৫ শতাংশ এবং সরকার ২০২৬ অর্থবর্ষের জন্য ৬.৩৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

গ্লোবাল গ্রোথ ধীরগতিতে চলছে, কিন্তু ভারত ব্যতিক্রম: IMF (International Monetary Fund) অনুমান করছে যে বিশ্বব্যাপী জিডিপি বৃদ্ধি ২০২৫ সালে ৩.২ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ৩.১ শতাংশ হবে। যা ২০২৪ সালের ৩.৩ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এদিকে, উন্নত দেশগুলিতে অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে মাত্র ১.৬ শতাংশ। যেখানে উদীয়মান বাজারের বৃদ্ধি হবে গড়ে ৪.২ শতাংশ। স্পেন (২.৯ শতাংশ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১.৯ শতাংশ) দ্রুততম বর্ধনশীল উন্নত অর্থনীতি হবে। যেখানে জাপান (১.১ শতাংশ) এবং কানাডা (১.২ শতাংশ) পিছিয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: AI-র দুনিয়ায় উঠবে ঝড়! ফেসবুকের সঙ্গে মেগা ডিল মুকেশ আম্বানির, চমকে দেবে পরিকল্পনা
প্রত্যাশার চেয়ে কম শুল্কের প্রভাব: IMF (International Monetary Fund) জানিয়েছে যে ভারত ও চিনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের প্রভাব ততটা তাৎপর্যপূর্ণ নয় যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল। ভারতের শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, উৎপাদনে উত্থান এবং বেসরকারি বিনিয়োগ এই ধাক্কাকে প্রশমিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত বাণিজ্য বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় চাহিদার মাধ্যমে ধাক্কা সামলে নেওয়ায় শুল্কের প্রভাব প্রত্যাশার চেয়ে মৃদু ছিল।
মুদ্রাস্ফীতি কমছে, কিন্তু ঝুঁকি রয়েছে: রিপোর্টটি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি অসমভাবে কমছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যের চাপ রয়ে গেছে। যদিও অনেক দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
IMF (International Monetary Fund) সতর্ক করে বলেছে যে, দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা, প্রটেকশনাজিম এবং চাকরির বাজারের ধাক্কা বৃদ্ধিকে দুর্বল করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ODI-তে দাপট ভারতের! এই ৫ টি কারণেই বাজিমাত টিম ইন্ডিয়ার
IMF-এর পরামর্শ: সামগ্রিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে IMF (International Monetary Fund) সরকারগুলিকে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা বজায় রাখার এবং কাঠামোগত সংস্কারের ওপর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে যে, ট্যারিফ এবং সাপ্লাই চেনের ব্যাঘাতের প্রভাব কমাতে দেশগুলির ট্রেড এবং পলিসি কোঅর্ডিনেশন বৃদ্ধি করা উচিত।













