বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৪৫ বছর আগে এই দিনেই প্রয়াত হন মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। নক্ষত্র পতন হয় বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে। একটি মাত্র খবরে যেন ঝড় উঠেছিল বিনোদন দুনিয়ায়। সেই সঙ্গে অন্ধকার নেমে এসেছিল আরও এক মহা তারকার মুখে, সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen)। পর্দায় রোম্যান্সকে আলাদা মাত্রা দিয়েছিল তাঁদের জুটি। কিন্তু সেদিন যে তাঁকে এমন খবর শুনতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি মহানায়িকা।
সুচিত্রা সেনের কাছে পৌঁছায় উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) মৃত্যু সংবাদ
১৯৮০ সালের ২৪ শে জুলাই রাত প্রায় দশটা নাগাদ টেলিফোনে মহানায়কের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। শোনা যায়, ফোনটা রেখে সেই যে ঘরের মধ্যে ঢুকে তিনি দরজা বন্ধ করেছিলেন, তারপর সেই দরজা খুলেছিল রাত আড়াইটের সময়।
গভীর রাতে মহানায়কের বাড়িতে যান সুচিত্রা: সবুজ পাড়ের সাদা তাঁতের শাড়ি পরে হাতে রজনীগন্ধার মালা নিয়ে ওই রাতেই সুচিত্রা গিয়ে পৌঁছেছিলেন উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) ভবানীপুরের বাড়িতে। সে বাড়িতে তখন শায়িত ছিল মহানায়কের মরদেহ। তাঁকে ঘিরে বসেছিলেন স্ত্রী গৌরী দেবী এবং ভাই তরুণ কুমার। মালা হাতে নিয়ে সুচিত্রা সেন গিয়ে বসেন মহানায়কের মরদেহের সামনে।
আরও পড়ুন : উত্তম-সম্মানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ‘মহানায়ক সম্মান’ নিলেন গৌতম-ইমন-রূপঙ্কর
কী বলেছিলেন গৌরী দেবী: শোনা যায়, হাতের মালাটি নিয়ে ইতস্তত করছিলেন সুচিত্রা। উত্তমের (Uttam Kumar) গলায় পরিয়ে দেবেন, পায়ে দেবেন নাকি বুকের উপরে রাখবেন বুঝতে পারছিলেন না। তখনই পাশ থেকে যা বলে ওঠেন গৌরী দেবী, নিজেকে আর সামলাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন : ভোট সন্ত্রাসে মৃত অভিজিতের দাদার উপরেও হামলার অভিযোগ! কাঠগড়ায় ২ TMC কাউন্সিলর
সুচিত্রাকে উদ্দেশ্য করে মহানায়কের স্ত্রী বলেছিলেন, ‘রমাদি মালাটা তুমি ওঁর গলাতেই পরিয়ে দাও। সিনেমায় তো অনেকবার পরিয়েছো, আজও তুমিই পরিয়ে দাও। নিশ্চিন্তে যাত্রা করুক তোমার উত্তম’। গৌরী দেবীর এই কথাতেই যেন বাঁধ ভাঙে। অনেক কষ্টে নিজেকে ধরে রাখা সুচিত্রা সেন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মহানায়কের মরদেহের সামনে। তাঁকে ফাঁকি দিয়ে আগে চলে গেলেন উত্তম, এটাই ছিল সুচিত্রা সেনের শেষ অভিযোগ।