বাংলা হান্ট ডেস্ক: মানবদেহে প্রত্যেকটি অঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হৃদপিণ্ড, ফুসফুসের মত অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে কিডনি (Kidney)। শরীরের এই ইঞ্জিন কাজ করা বন্ধ হয়ে গেলে শরীরও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কারণ দেহের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বার করার দায়িত্ব নেয় এই অঙ্গটি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, কিডনি রোগে আক্রান্ত প্রায় অধিকাংশ মানুষই। চিকিৎসকদের মতে কিডনির রোগকে সাইলেন্ট কিলার হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই কিডনির প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।
কিডনি (Kidney) রোগের হাত থেকে বাঁচতে বিশেষ খেয়াল:
চিকিৎসকদের মতে, কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শরীরে পটাশিয়াম অত্যাধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন রোগের সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি এই অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্যান্সার, স্টোনের মত মারণ ব্যাধি জন্ম নেয়। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে মূলত কি কি খাবার খাবেন এবং কি কি খাবার খাবেন না এই বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
কিডনি সুস্থ রাখতে কি কি খাবার খাবেন না: চিকিৎসকদের মতে কিডনির (Kidney) সুস্থতার জন্য অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম, সোডিয়াম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন- দুধ, কলা, কমলালেবু, বাদাম, মুরগির মাংস, প্রক্রিয়াজাত যে কোন খাবার। এছাড়াও উচ্চ প্রোটিন জাতীয়, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই এইখাবারগুলি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার কিংবা পানীয়ও গ্রহণ করবেন না। আর যদি মাংস খেতেই হয় তাহলে স্বল্প পরিমাণ খেতে পারেন অতিরিক্ত নয়।
আরও পড়ুনঃ পুলিশি মদতে ভারতে মাদক পাচারের ব্যবসা! মাস্টারমাইন্ডকে হত্যা করল বিষ্ণোই গ্যাং
পাতে কি কি খাবার রাখবেন? ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন, যেমন- শশা, তরমুজ, লেবু ইত্যাদি। এছাড়াও আপেল আনারস আঙ্গুর ও কিডনির জন্য যথেষ্ট কার্যকরী। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডিমের সাদা অংশ, সামুদ্রিক মাছ। এগুলি প্রোটিনের যোগান দেয় পাশাপাশি কিডনির (Kidney) সুস্থতা বজায় রাখে। প্রতিদিন সঠিক মাত্রায় জল পান করুন। এগুলি ছাড়াও ফুলকপি, বেগুন, ব্রকোলি সহ সবুজ শাক-সবজি খান। তাহলে কিডনির রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবেনা। তবে যারা ইতিমধ্যেই কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর এই খাবার খান।
আরও পড়ুনঃ বাংলা সিরিয়ালে হিন্দি গান… নিজের ছেলেকেও আর বাঙালি বানাচ্ছে না! এ কোন দিলীপ ঘোষ?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন কি করে? যদি কিডনি (Kidney) রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে – ঘুম না হওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা, পা ফুলে যাওয়া, কারণ ছাড়া বারবার জ্বর আসা এই লক্ষণ গুলি দেখা দেবে। এছাড়াও মাথা ঘুরে যাওয়া, হাড়ে ব্যথা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিলেও বুঝুন আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করিয়ে নিলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই আপনার মধ্যেও যদি এই লক্ষণগুলি দেখা দেয় তাহলে শীঘ্রই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।