বাংলাহান্ট ডেস্ক : অসুস্থ হলেই আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটি। ডাক্তাররাও রোগ নির্ধারণ করে সেই মতো ওষুধ দেন। কিন্তু যে ওষুধগুলো চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন, সেগুলি ঠিক কত ধাপ পেরিয়ে তারপর রোগীর কাছে পৌঁছায় জানেন? ল্যাবরেটরিতে ওষুধের (Pharmacist) ডোজ এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা হওয়ার পর কার্যকারিতা অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। এরপরেও চলে একাধিক ট্রায়াল। তারপর তা আসে বাজারে বিক্রির উদ্দেশে। এই পুরো প্রক্রিয়াটা সামলান ফার্মাসিস্টরা (Pharmacist)। ওষুধ তৈরি এবং তা খোলা বাজারে বিক্রয়যোগ্য করে তোলার পেছনে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। কীভাবে হওয়া যায় ফার্মাসিস্ট (Pharmacist), চাকরির বাজারই বা কেমন জানেন?
ফার্মাসিস্ট (Pharmacist) হওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
ফার্মাসিস্ট (Pharmacist) হতে গেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক এবং জীববিদ্যা নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। নূন্যতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। স্নাতকে (Pharmacy) ভর্তি হওয়ার জন্য রাজ্যের নাফামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে যোগ্যতা হিসেবে WBJEE মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও রয়েছে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রবেশিকা পরীক্ষা। স্কুলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারপর ভর্তি হওয়া যায় ডিফার্ম (ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি), বিফার্ম (ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি) কিংবা ফার্ম ডি (ডক্টর অফ ফার্মাসি) কোর্সে।
স্নাতক পাশের কোর্স: নিজস্ব ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান খোলার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা ডিফার্ম। এটি একটি দু বছরের ডিপ্লোমা কোর্স। এই কোর্সের পড়ুয়ারা মেধার ভিত্তিতে বি ফার্মের (Pharmacist) দ্বিতীয় বর্ষে প্রবেশের সুযোগ পায়। অন্যদিকে বিফার্ম চার বছরের কোর্স। স্কুল ভিত্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারপর রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হতে হয় এই কোর্সে ভর্তির জন্য। ফার্ম ডি একটি পেশাদার ডক্টরাল প্রোগ্রাম, যেখানে পাঁচ বছরের কোর্স শেষে এক বছরের ইন্টার্নশিপ করানো হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। যারা বিফার্ম পড়ছেন, তারা মেধার ভিত্তিতে ফার্ম ডিএর চতুর্থ বর্ষে ‘ল্যাটারাল এন্ট্রি’ হিসেবে ভর্তি হতে পারে।
আরও পড়ুন : শেষমেশ ‘জওয়ান’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার! সম্মানিত হয়েও বিতর্কের মুখে শাহরুখ
স্নাতকোত্তরের কোর্স এবং লাইসেন্সের আবেদন: স্নাতক পাশ করার পর এমফার্ম, ডিফার্ম (পোস্ট ব্যাকালোরিয়েট), পিএইচডি ইন ফার্মাসি কোর্সে ভর্তি হতে পারেন পড়ুয়ারা (Pharmacist)। এর মধ্যে জিপ্যাট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হওয়া যায় দু বছরের এমফার্ম কোর্সে। যাদের বিফার্ম ডিগ্রি রয়েছে তারা তিন বছরের ডিফার্ম (পোস্ট ব্যাকালোরিয়েট) কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবেন। আর উচ্চতর শিক্ষার জন্য স্নাতকোত্তর হওয়ার পর ফার্মাসিতে পিএইচডির জন্য আবেদন করা যায়। উল্লেখ্য, রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট (Pharmacist) হওয়ার জন্য স্টেট লাইসেন্স থাকাটা বাধ্যতামূলক। তা ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ফার্মাসি কাউন্সিল। তবে এর জন্য উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না। স্নাতক পাশের পরেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানাতে পারেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : মাত্র ৮০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে ইলিশ! গঙ্গা বা পদ্মার নয়, কোথা থেকে আসছে এত মাছ?
ফার্মাসি পড়ার পর একাধিক ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে। হাসপাতালের ফার্মেসি, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, ক্লিনিকাল রিসার্চ অরগানাইজেশনে চাকরির পাশাপাশি স্বাধীন ভাবে নিজের ওষুধের ব্যবসাও করা যায়।