এসি রেস্তোরাঁতেও খেতে হবে কাগজের প্লেটে, সঙ্গে উপরি চার্জ! নন্দিনী দির দোকানে মাটন থালির দাম জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউটিউবের দৌলতে রাতারাতি পেয়েছিলেন খ্যাতি। সেই ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনী (Nandini) এতদিনে বেশ উন্নতিই করে ফেলেছেন। ডালহৌসির ভাতের হোটেল ছেড়ে চলে এসেছেন নিউটাউনে। সেখানে তাঁর দু দুটো দোকান। একটি টিনের ছাদের, অপরটি রীতিমতো এসি রেস্তোরাঁ। কিন্তু এই রেস্তোরাঁয় এসিতে বসে খেতে গেলে কত টাকা গুনতে হবে জানেন?

কেমন চলছে নন্দিনী দির (Nandini) এসি রেস্তোরাঁ

নন্দিনী দির (Nandini) এই নতুন দোকানটি আকাঙ্ক্ষা মোড়ে। এনকেডিএ কমিউনিটি হলের উলটো দিকে, গাঙ্গুরামের গলির সামনে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁটি অবশ্য নন্দিনী দিদির বাবার নামে। তিনিই চালান এই রেস্তোরাঁ। ইতিমধ্যেই বেশ ভিড় হতে শুরু করেছে এই দোকানে। উপরন্তু ফুড ভ্লগারদের ভিড় তো লেগেই থাকে।

What is the price of nandini di ac restaurant thalis

কত করে রয়েছে থালির দাম: নন্দিনী দির (Nandini) বাবা জানিয়েছিলেন, মাসে নাকি ২ লক্ষ টাকা খরচ হয় এই রেস্তোরাঁর পেছনে। অথচ কাস্টমারদের খাবার দেওয়া হয় কিন্তু সেই কাগজের প্লেটেই। কাঁচ বা অন্য প্লেটের বালাই নেই। তার উপরে দামও বেশি। এসিতে বসে খেতে হলে সব থালির জন্যই দিতে হবে অতিরিক্ত ৩০ টাকা।

আরো পড়ুন : খ্যাতি পেয়েই ছাড়েন প্রথম প্রেমিকাকে? নিন্দুকদের ফুৎকারে উড়িয়ে চলতি মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে ‘প্রেতকথা’ খ্যাত গৌরব

কী কী থাকে থালিতে: নন্দিনী দির (Nandini) দোকানে সবজি থালিতে থাকে ভাত, আলু ভাজা, বেগুনি, পাঁপড় ভাজা, মুগের ডাল, আলু বেগুন বড়ি দিয়ে তরকারি এবং ফুলকপি আলুর তরকারি। এই থালির দাম ১০০ টাকা। উল্লেখ্য, নন্দিনী দির (Nandini) নিউটাউনের দুই দোকানেই নাকি খাবারের মান এক। তবে এসির চার্জ বেশি। আবার এই এসি রেস্তোরাঁয় মাটল থালি খেতে গেলে লাগবে ২৩০ টাকা। এই থালিতে কমপ্লিমেন্টারি ডাল, ভাজা, সবজির সঙ্গে থাকবে দু পিস মাটন। অথচ এই থালিটাই নিউটাউনের অন্য দোকানে দাম ২০০ টাকা।

আরো পড়ুন : আরণ্যকের থেকে দূরে যেতে বাড়ি ছাড়ল ‘রোশনাই’, ফের দূরত্ব নায়ক নায়িকার, আরো পড়বে TRP?

প্রসঙ্গত, করোনার সময়ে বাবার পাশে দাঁড়াতে বেঙ্গালুরুতে নিজের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় আসেন নন্দিনী (Nandini Didi)। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। বাবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে শুরু করেন ডালহৌসির অফিস পাড়ার এক চিলতে ভাতের হোটেল। একদিন এক ইউটিউবারের চোখে পড়তেই ভাগ্য বদলে যায় তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সেই পাইস হোটেলে উপচে পড়ে কাস্টমারদের ভিড়। তবে সেই ফুটপাতের হোটেল এখন আর নেই। তারপর নিউটাউনে একটি খাবারের দোকান খুলেছিলেন নন্দিনী। আর এবার সটান এসি রেস্তোরাঁ। খ্যাতি কাজে লাগিয়ে যে উন্নতি করা যায় সেটাই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর