বাংলাহান্ট ডেস্ক : আনন্দ মহিন্দ্রাকে (Anand Mahindra) চেনে না এমন মানুষ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। দেশের প্রথমসারির শিল্পপতি তিনি। মহিন্দ্রা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার তিনিই। সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় তিনি। এর আগেও তাঁর বিভিন্ন কার্যকলাপ নেট দুনিয়ার বহু প্রশংসা কুড়িয়েছে। বরাবর আর পাঁচজনের তুলনায় সবসময়ই একটু অন্যভাবে ভাবতে পছন্দ করেন এই শিল্পপতি। তাঁর ট্যুইটারে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অনেককেই প্রতিভাকেই উৎসাহ প্রদান করেন। কখনও বা সাহায্য করেন অর্থ দিয়েও।
সোমবার ট্যুইটারে একটি ছোট মেয়ের ছবি শেয়ার করেছিলেন আনন্দ মহিন্দ্রা। ওই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ছোট মেয়েটি সবুজে ঘেরা জঙ্গলে বসে এক মনে পড়াশুনো করছে। ট্যুইটারে তাঁর অনুগামীরা স্বাভাবিকভাবে এই ট্যুইটের প্রশংসা করতে শুরু করেন। এরইমধ্যে কমেন্টে ওই পোস্টের নিচে আজব কাণ্ড ঘটিয়েছেন বৈভব নামের এক জনৈক ব্যক্তি। হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি শিল্পপতিকে প্রশ্ন করে বসেন ‘স্যার, আমি কি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে পারি?’ তার প্রত্যুত্তরে আনন্দ যা বলেছেন, তা শুনে নেটিজেনরা অবাক হয়ে যান।
আনন্দ মহিন্দ্র অভিষেক দুবে নামে এক ব্যক্তির শেয়ার করা ছবি নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করে প্রশংসা করেন। দুবে জানিয়েছিলেন, এই ছবি হিমাচল প্রদেশে তোলা। ছবি দিয়ে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘আমি হিমাচলের স্তৌন এলাকাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল সেখানে একটি মেয়ে বসে একমনে পড়াশুনো করছে। তার মনোসংযোগ দেখে আমি অবাক হয়ে যাই।’
এই ছবিতে মুগ্ধ হয়ে আনন্দ মহিন্দ্র লেখেন, ‘দারুণ ছবি অভিষেক। এই মেয়েটি আমার সোমবারের অনুপ্রেরণা।’ এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে এসেই এক ব্যক্তি শিল্পপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চান। ওই ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে আনন্দ মহিন্দ্র বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার বয়সে এসে সবচেয়ে বড়ো যোগ্যতা হলো অভিজ্ঞতা।’ তাঁর উত্তরে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়।