নেপালের আন্দোলনের পেছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র! ১০ দিন পর প্রকাশ্যে এসে কী জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

Published on:

Published on:

What KP Sharma Oli said about the Nepal protest?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। নেপালে (Nepal) সম্প্রতি হওয়া জেনারেশন জেড আন্দোলনের রেশ এখনও কাটেনি। আন্দোলনের প্রায় ১০ দিন পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, তাঁর সরকারের তরফে কখনওই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাঁর অভিযোগ, “যারা গুলি চালিয়েছে, তারা পুলিশকর্মী নয়। পুলিশের হাতে এমন অটোম্যাটিক বা অত্যাধুনিক অস্ত্র থাকে না। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।”

প্রকাশ্যে এলেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)

ওলির (KP Sharma Oli) দাবি, শান্তিপূর্ণ যুব আন্দোলনের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, আন্দোলনকে হিংসাত্মক পথে নিয়ে যাওয়া। তাঁর কথায়, এই ষড়যন্ত্রের ফলেই নিরীহ বহু তরুণ প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ওলি আরও বলেন, এর পেছনে বড়সড় একটি চক্রান্ত কাজ করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সত্য প্রকাশ্যে আসবে।

আরও পড়ুন:“আমি ভারত এবং মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ”, এবার লঘু হতে চলেছে শুল্কের বোঝা? ট্রাম্পের বয়ানে শুরু জল্পনা

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (KP Sharma Oli) অভিযোগ, তাঁর পদত্যাগের পরেও আন্দোলনকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাঠমাণ্ডুর গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিতে হামলা চালায়। সিংহদরবার সচিবালয়ে আগুন লাগানো হয়। হামলা করা হয় তাঁর ব্যক্তিগত বাড়িতেও। এমনকি নেপালের জাতীয় মানচিত্র পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কারণেই তাঁকে সেনা হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছাড়তে হয়েছিল। প্রথমে তাঁকে সেনার ঘাঁটিতে রাখা হয়, পরে গোপনে একটি ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওলি (KP Sharma Oli) ফের মনে করিয়ে দেন, কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও নেপালের সংবিধান কার্যকর করা হয়েছিল। তাঁর মতে, বর্তমানে সেই সংবিধান এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত আসছে। তাঁর আহ্বান, সব প্রজন্মকে একসঙ্গে মিলে এই সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।

What KP Sharma Oli said about the Nepal protest?

আরও পড়ুন: মৃগী সত্ত্বেও কেন স্কুবা ডাইভিংয়ের অনুমতি? জুবিনের মৃত্যুতে উঠে গেল একগুচ্ছ প্রশ্ন

উল্লেখ্য যে, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের হিংসাত্মক আন্দোলনে তিনজন পুলিশ সহ অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং সরকারের দুর্নীতি ঘিরে যে ক্ষোভ জমেছিল, তা থেকেই শুরু হয়েছিল এই অভূতপূর্ব গণআন্দোলন। যুবসমাজের নেতৃত্বে হওয়া এই বিক্ষোভ নেপালের রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে ওলির (KP Sharma Oli) নতুন অভিযোগ ও মন্তব্য নেপালে বিতর্ককে আরও উসকে দিল।