বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাস্তু শাস্ত্র (Vastu shastra) একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় আর্কিটেকচার সিস্টেম যা ভারতে উদ্ভূত হয়েছে । শব্দটি আক্ষরিক অর্থে “আর্কিটেকচার বিজ্ঞান” তে অনুবাদ করে । এইগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যায় এমন গ্রন্থ যা নকশা, বিন্যাস, পরিমাপের নীতিগুলি বর্ণনা করে। স্থল প্রস্তুতি, স্থান ব্যবস্থা, এবং স্থানিক জ্যামিতি বাস্তু শাস্ত্রগুলি সনাতন হিন্দু এবং কিছু ক্ষেত্রে বৌদ্ধ বিশ্বাসকে অন্তর্ভুক্ত করে।
বাস্তুশাস্ত্র হ’ল বাস্তু বিদ্যার পাঠ্য অংশ যা প্রাচীন ভারত থেকে আর্কিটেকচার এবং নকশার তত্ত্বগুলির সম্পর্কে বিস্তৃত জ্ঞান। প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্র নীতিগুলির মধ্যে রয়েছে মন্দিরের নকশা (হিন্দু মন্দির), এবং ঘরবাড়ি, নগর, শহর, উদ্যান, রাস্তাঘাট, জলের কাজ, দোকান এবং অন্যান্য সরকারী ক্ষেত্রগুলির নকশা এবং বিন্যাসের নীতিগুলি অন্তর্ভুক্ত । জেনে নিন এমন কিছু বাস্তু টিপস, যা আপনাদের দৈনন্দিন কাজে খুবই কাজে দেবে
আজকের বিষয় বাস্তু মতে আপনার বাড়ির ঘড়ির ক্ষেত্রে কি কি নজরে রাখবেন
দক্ষিণ দিকে নয়: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ঘড়ি রাখলে অর্থনৈতিক জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। পূর্ব, পশ্চিম অথবা উত্তর দিকে মুখ করে ঘড়ি রাখা যেতেই পারে।
বেডরুমে ঘড়ি নয়: অ্যালার্মের জন্য মোবাইল ব্যবহার করলেও শোয়ার ঘরে ঘড়ি রাখবেন না। যদি রাখতেই হয় যেখানে শোবেন, সেখান থেকে ঘড়ি যেন অনেক দূরে থাকে।
বন্ধ ঘড়ি রাখবেন নাঃ বাড়ির ভিতরে বন্ধ ঘড়ি থাকলে কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। পাশাপাশি বাস্তু মতে এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির বাইরে ঘড়ি রাখা একেবারে উচিত নয়।
স্লো ঘড়ি : কোনও ঘড়ি সময়ের থেকে আগে দৌড়ালে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু ঘড়ি যদি স্লো হয়, তবে খারাপ সময়ের খপ্পরে পরার সম্ভাবনা বাড়ে।
ভাঙা ঘড়ি : ঘড়ির কাঁচ যদি ভেঙে গেলে তা অশুভ শক্তিকে ডেকে আনে। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালায়।