একা থাকলে কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক পর্যায়, জেনে নিন এই উপায়গুলো

বাংলাহান্ট ডেস্ক: হার্টের সমস্যা এখন আর নতুন কিছু নয়। শতকরা ৬০ জন মানুষের রয়েছে এই সমস্যা। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে হার্টের সমস্যা। এমন দিন খুব দূরে নেই যখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এই রোগ। তিনজনের মধ্যে একজন মানুষের থাকতে পারে হার্টের সমস্যা। কিন্তু এর থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় কী?  চিকিৎসকেরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। পাশাপাশি দরকার দৈহিক পরিশ্রম। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক বলেকয়ে আসে না। আপনি একা থাকাকালীন যদি হার্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ঘাবড়াবেন না। কয়েকটি স্টেপ মেনে চললেই নিস্তার পাবেন কঠিন পরিস্থিতি থেকে।

heart attack
Men in blue shirt having chest pain – heart attack – heartbeat line

হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ হল বুকের বাম দিকের একেবারে মাঝে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভূত হয়। প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে এই যন্ত্রণা। তারপর তা বাম দিকের হাত ও কাঁধের সংযোগস্থল, ঘাড়ে ও চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় প্রচণ্ড ঘাম হয় ও চারিদিক অন্ধকার হয়ে যেতে থাকে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে কখনওই অবহেলা করবেন না। হাতের কাছে জরুরি পরিষেবার নম্বর সবসময় রাখুন। আত্মীয় চেনা-পরিচিতদেরও খবর দিয়ে রাখা উচিত যাতে দরকারের সময় তারা আসতে পারে।

অ্যাসপিরিন হার্ট অ্যাটাকে অনেকটা কাজ দেয়। এই ওযুধের সাহায্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক পর্যায়টা কাটিয়ে ওঠা যায়। চিকিৎসকরা বলেন, জোরে জেরে শ্বাস নিলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।

p3 CPR Class HH1708 ts637089920
CPR First Aid Training Concept

হার্ট অ্যাটাকের সময় সিপিআর খুবই উপকারী একটা পদ্ধতি। বুকের বাম দিকে হাত দিয়ে চাপ দিলে হৃদকম্পনের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে। অনেকে নানা পুরোনো পদ্ধতির ওপরেও নির্ভর করেন। তার মধ্যে একটি হল কাশা। অনেকে বলেন, জোরে জোরে কাশলে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক পর্যায় কাটিয়ে ওঠা যায়। তবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর