বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রুদ্রাক্ষের মালা হাজার বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়, বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বাউলদেরও এটা ব্যবহার করতে দেখা গেছে, কারণ রুদ্রাক্ষ তখন ছিল সহজলভ্য। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ এবং সেই তুলনায় গাছের সংখ্যা গেছে কমে যে কারণে দুর্লভ হয়ে পড়েছে বস্তুটি। এই রুদ্রাক্ষের বেশির ভাগ, প্রায় ৬৫ ভাগ পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা এবং বোর্নিও প্রভৃতি দ্বীপে, ২৫ ভাগ পাওয়া যায় নেপালে, সবিশেষে ভোজপুর জেলায়, এবং বাকি সব ভারত-বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।
রুদ্র অর্থ শিব, অক্ষ অর্থ চোখ বা চক্ষুজল। পৌরাণিক কাহিনীর একটিতে আছে, দুর্বিনীত অসুর ত্রিপুরকে বধ করতে গিয়ে শিব দীর্ঘকাল অপলক নেত্রে যুদ্ধ করার কারণে তার অবসাদগ্রস্ত চোখ থেকে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা অশ্রু। সেই অশ্রুকণা থেকেই জন্ম হয় রুদ্রাক্ষের। এ কারণে শিব-পুজারী এবং ধার্মিকদের মধ্যেই ছিল এর প্রাথমিক বিস্তার। এখন তেমন নেই, জ্যোতিষবিদদের ব্যবসায়িক প্রবণতার কারণে প্রচার হয়েছে, রুদ্রাক্ষ যে কোনো ধর্মের এবং যে কোনো বয়সের নারী-পুরষই ধারণ করতে পারে, গলায় বাজুতে এবং কব্জিতে। আরো প্রচার হয়েছে গাছের তলায় পড়ে থাকা রুদ্রাক্ষ ব্যবহার্য নয়, গাছ থেকে চয়ন করতে হবে সেসব যার ২-৩% মাত্র রুদ্রাক্ষের জন্য উপযোগী।
জেনে নিন কোন রাশির জন্য কোন রুদ্রাক্ষ ধারন করা উচিৎ
মেষ রাশি:তিনমুখী রুদ্রাক্ষ
বৃষ রাশি: ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ও তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ
মিথুন রাশি: চারমুখী রুদ্রাক্ষ এবং গণেশ রুদ্রাক্ষ একসঙ্গে
কর্কট রাশি:দু’মুখী রুদ্রাক্ষ
সিংহ রাশি: একমুখী রুদ্রাক্ষ ও বারোমুখী রুদ্রাক্ষ
কন্যা রাশি:চারমুখী রুদ্রাক্ষ এবং গণেশ রুদ্রাক্ষ
তুলা রাশি: ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ও তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ
বৃশ্চিক রাশি:তিনমুখী রুদ্রাক্ষ
ধনু রাশি: পাঁচমুখী রুদ্রাক্ষ
মকর রাশি:সাতমুখী রুদ্রাক্ষ
কুম্ভ রাশি: সাতমুখী রুদ্রাক্ষ
মীন রাশি:পাঁচমুখী রুদ্রাক্ষ