বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা গণধর্ষণ (Kasba Law College) কাণ্ডে পেরিয়েছে এক সপ্তাহ। এর মধ্যে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাশাপাশি কলেজের মধ্যে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে আরও অনেকেই। ওই কলেজেরই (Kasba Law College) প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্রীরা সরব হয়েছেন মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে। ‘প্রভাব’ খাটিয়ে আরো অনেককেই যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কলেজে (Kasba Law College) প্রভাবশালী হওয়ার অভিযোগ মনোজিতের বিরুদ্ধে
ওই কলেজে মনোজিতের যে বেশ ভালোই ‘রেলা’ ছিল, সেকথা জানিয়েছেন কলেজেরই (Kasba Law College) অনেক পড়ুয়া। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মনোজিৎ কলেজের প্রাক্তনী হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন কলেজের অস্থায়ী কর্মীও। এও জানা গিয়েছে, কলেজের (Kasba Law College) প্রতিটি অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাডমিন ছিলেন অভিযুক্ত মনোজিৎ। বারংবার অভিযোগ উঠছে, নামে অস্থায়ী কর্মী হলেও কলেজে ভালো রকমই দাপট ছিল তাঁর।
আগেও উঠেছে একাধিক অভিযোগ: তদন্ত শুরু হতেই প্রকাশ্যে আসছে মনোজিতের একের পর এক কীর্তি। এর আগেও একাধিকবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধুই মৌখিক অভিযোগ নয়, জানা গিয়েছে, বেশ কিছু থানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রয়েছে। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে বারংবার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এখন যখন গণধর্ষণ কাণ্ডের (Kasba Law College) তদন্ত শুরু হয়েছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মনোজিতের ‘প্রভাবশালী’ হওয়ার কারণেই নিষ্ক্রিয় থেকেছে পুলিশ?
আরো পড়ুন : চলবে সংস্কার, শুক্র থেকে রবি রাত পর্যন্ত বন্ধ সোদপুর ফ্লাইওভারে, যানজট এড়াতে জেনে রাখুন বিকল্প রাস্তা
পুলিশ দিয়েছে প্রভাবশালী তকমা: উল্লেখ্য, খোদ পুলিশের তরফেই কিন্তু মনোজিৎকে ‘প্রভাবশালী’ বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কোনো ভাবে জামিন পেয়ে গেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে, তদন্ত প্রভাবিত করতে পার।
আরো পড়ুন : বিটেক পাশ করলেই সুবর্ণ সুযোগ, নিয়োগ হবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থায়, এভাবে করুন আবেদন
কসবা ল কলেজের (Kasba Law College) অনেকেই বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মনোজিতের বিরুদ্ধে। টিভি নাইন বাংলা সূত্রে খবর, কসবা থেকে কালীঘাট মেট্রো পর্যন্ত প্রথম বর্ষের সব ছাত্রীদের উপরে নজরদারি চালাত মনোজিতের টিম। এমনকি ক্লাস করতে না দিয়ে ছাত্রীদের ইউনিয়ন রুমে বসিয়ে রাখার অভিযোগও উঠেছে। এ বিষয়ে কলেজের এক ছাত্রীর অভিযোগ, অনেককে নাকি অভিযুক্ত মনোজিৎ বলতেন, ‘বস না তোকে একটু দেখি’! এই ঘটনায় মনোজিৎ সহ তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে ওই কলেজের অনেক পড়ুয়ার দাবি, যে ছাত্রী নিজেকে জিএস বলে দাবি করতেন, তিনিও নাকি অভিযুক্তের দলেরই লোক।
‘আমাদের পছন্দ ইসলাম, মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, হিন্দুরা করে’, TMC বিধায়কের দাবিতে শোরগোল