বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রেম বয়স দেখে না, জাতপাতও দেখে না। মনের টানের ক্ষেত্রে সময় বাধাই দূর হয়ে যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty) এবং স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে। অভিনয় জগতে তাঁদের পরিবার স্বনামধন্য। স্বামী স্ত্রী দুজনেই দাপুটে অভিনেতা। দুই ছেলেও মা বাবার পথেই হেঁটেছে। তবে জানেন কি, বিয়ের আগে সব্যসাচী (Sabyasachi Chakraborty) এবং মিঠুর সম্পর্ক ছিল মামা ভাগ্নীর?
কীভাবে বিয়ে হয় সব্যসাচী (Sabyasachi Chakraborty) মিঠুর?
১৯৮৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সব্যসাচী এবং মিঠু। দেখতে দেখতে ৩৯ বছর কাটিয়ে এসেছেন দুজনে। একবার ‘অপুর সংসার’ শোতে এসে তাঁদের বিয়ে নিয়ে এক মজার কাহিনি শুনিয়েছিলেন মিঠু চক্রবর্তী। তাঁর বাবা ছিলেন এয়ার ফোর্সের ফাইটার পাইলট। সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর বিয়েটা দেখাশোনা করেই দেওয়া, অর্থাৎ অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। তাঁদের দুই পরিবারই দিল্লিতে থাকত।

বহুদিনের পরিচয় দুজনের: মিঠু জানান, তাঁর মায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন সব্যসাচীরা (Sabyasachi Chakraborty)। সেই টেপজামা পরার বয়স থেকে দুজনের পরিচয়। স্মৃতি রোমন্থন করে প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন টেপজামা পরে পাঁচিলের উপর আমি হাঁটছি। ওরা আমার বাড়িতে ঢুকছে। ওইটুকু বয়স থেকে আমি ওকে চিনি’।
আরও পড়ুন : ট্রেনে রিল বানালে যেতে পারে চাকরি! কড়া নির্দেশিকা জারি রেলের
বিয়ের পরেই অভিনয়ে আসা: রসিকতা করে সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ওই স্মৃতিটা তো মুছে যায়নি মন থেকে। এমন মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে ভয় পায়নি বেণুদা? কবে বাড়ির কার্নিশ দিয়ে হাঁটবে’! উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন বিয়ে কোথায়! তখন তো বেণু মামা’।
আরও পড়ুন : দিতিপ্রিয়া বেরোতেই ব্যাপক রদবদল, টিআরপির পতনে ফের চর্চায় ‘চিরদিনই…’
প্রসঙ্গত, মিঠু চক্রবর্তী জানান, শ্বশুরবাড়ির সকলেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। দুই ছেলে গৌরব এবং অর্জুনও বাবা মায়ের পথ অনুসরণ করেছেন।












