বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুধু ভারতেই (India) নয়, করোনার বিরুদ্ধে দিনরাত এক করে গোটা বিশ্বে লড়ে চলেছেন ডাক্তারেরা। এমনকি এই লড়াইয়ে অনেক ডাক্তারের প্রাণ ত্যাগও হয়েছে। তবুও ওনারা হার মানেন নি। এবার এক ডাক্তারের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব, যিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক বিরল নজির গড়েছেন। গুজরাটের সুরাটের ডাক্তার নিজেই অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন, তা স্বত্বেও এক বৃদ্ধ মানুষের প্রাণ বাঁচালেন তিনি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ডঃ সঙ্কেত মেহতা (Dr Sanket Mehta) নিজেই একজন Anaesthetist। উনি ৭১ বছর বয়সী দীনেশ পুরানি নামের এক বৃদ্ধ মানুষের প্রাণ বাঁচান। ওই বৃদ্ধের ভেন্টিলেটর সাপোর্টের এমার্জেন্সি দরকার ছিল। উল্লেখ্য, কোলাপ্স হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়, নাহল ব্রেন ডেড হওয়ার সম্ভাবনা দাঁড়ায়।
এই ঘটনা গুজরাটের BAPS Hospital এ ৯ ই আগস্ট ঘটে। সেখানে ৩৭ বছর বয়সী ডঃ মেহতা ভর্তি ছিলেন। উনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হাসপাতালের সুপার ডঃ কোরাড়িয়া বলেন, পুরানি জিকে যখন হাস্পাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন ওনার শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ডাক্তাররা নিজেদের প্রোটোকল ফলো করছিল। তাঁদের PPE কিট পরে ICU তে যেতে ২০ মিনিট সময় লেগে যেত।
আর তখন ডঃ মেহতা নিজের High Flow Nasal Cannula, যেটা দিয়ে উনি নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন, সেটি পুরানি জিকে দেন। উনি পুরানি জির বেডের পাশে গিয়ে ওনার সাহায্য করেন। স্টাফ আর বাকি মেম্বার ডাক্তারের এই কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে যান।
ডঃ মেহতা বিগত ১০ দিন ধরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এমনকি উনি ঠিক মতো কথাও বলতে পারছিলেন না। ওনার শরীরে শক্তি অনেক কমে গিয়েছিল। শ্বাস নিতেই অনেক সমস্যা হচ্ছিল। ওনার প্রতি মিনিটে ৬ লিটার অক্সিজেনের দরকার ছিল। কিন্তু এরপরেও তিনি বৃদ্ধ মানুষটির সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। জানিয়ে দিই, ডঃ মেহতা নিজেই BAPS Hospital এর ডাক্তার ছিলেন। এরপর তিনি নিজের ব্যাক্তিগত হাসপাতাল খুলেছেন।