Bangla Hunt Desk: গত ৩১ শে আগস্ট ভারত (India) তাঁর এক মহান নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়কে (Pranab Mukherjee) হারিয়েছে। এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুর পর গোটা দেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন মানুষেরা শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন।
নেদারল্যান্ডসের ভারতের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
এই মহান মানুষের প্রয়াণে নেদারল্যান্ডসে ভারতের রাষ্ট্রদূত ভেনু রাজামনি (Venu Rajamony) বলেছেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাষ্ট্রপতিত্বের সময়কালে তিনি প্রেসিডেন্ট হাউসে পাঁচ বছরের জন্য প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি ইউপিএর সময় কংগ্রেসের জন্য কেবল প্রধান ক্ষমতাধরই ছিলেন না, তিনি সমস্ত সমস্যার সমাধানকারীও ছিলেন।
প্রধান দায়িত্ব-
ভেনু রাজামনি জানিয়েছেন, প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে তিনি মনে করতেন সংবিধান রক্ষা করা তাঁর প্রধান দায়িত্ব। তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ছিল রাষ্ট্রপতি ভবন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য করা। সেইসনে তিনি দৃঢ় ভাবেই বিশ্বাস করতেন, রাষ্ট্রপতি ভবন জাতির অন্তর্ভুক্ত। তাই এখানকার কার্যক্রমগুলিতে সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রথম এবং শেষ প্রেম –
নেদারল্যান্ডস থেকে HT ফোনে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বৈদেশিক বিষয়গুলিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ছিল সর্বজন প্রশংসিত। তাঁর প্রথম এবং শেষ প্রেম ছিল সংসদ। তিনি টিভিতে সংসদের আলোচনা দেখে বলতেন, ‘আমি সংসদে থাকিনি তো কি হয়েছে। আমি মনে করব আমি ওখানে থেকে এই আলোচনায় অংশ নিয়েছি’।
দেশের রাজনীতি বদলে যেত –
যেকোন ঘটনা তারিখ সময় মনে রাখতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, একথাও জানান তিনি। তিনি প্রচুর পরিমাণে ডায়রি লিখলেও, তিনি কখনই না দিনের আলোয় তা পড়তে পছন্দ করতেন না। ভেনু রাজামনি আরও জানিয়েছেন, ‘যদি ২০১২ সালে প্রণবদা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতেন এবং মনমোহন সিং রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলাতেন, তাহলে ২০১৪-এর পর থেকে ভারতের রাজনীতি অনেকটাই বদলে যেত। প্রণবদার এই জীবন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার হয়ে দাঁড়িয়েছে’।