বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারতের আধিপত্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারত ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক ও বিশ্বব্যাপী প্রভাব তার দখল আরও শক্তিশালী করছে। ঠিক এই আবহেই ভারত একটি বিরাট নজির গড়েছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত এবার এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ (Asia Power Index 2025) তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে। এই তালিকায় বর্তমানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা এবং চিন। আমেরিকা এবং চিন যথাক্রমে ৮১.৭ এবং ৭৩.৭ স্কোরের মাধ্যমে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যেখানে ভারত ৪০ স্কোরের মাধ্যমে রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ (Asia Power Index 2025) তৃতীয় স্থানে ভারত:
জানিয়ে রাখি যে, এই রিপোর্টটি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লোই ইনস্টিটিউট প্রকাশ করেছে। এই সূচকটি আন্তর্জাতিক বিষয় থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং কূটনীতিতে এশিয়ান দেশগুলির কার্যকারিতা পরিমাপ করে। এমতাবস্থায়, ভারত তার স্কোর ২ শতাংশ উন্নত করেছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ৪০ স্কোরের মাধ্যমে ভারত মেজর পাওয়ার ক্যাটাগরিতেও এন্ট্রি নিয়েছে।
Bharat 🇮🇳 has been ranked 3rd out of 27 countries for Comprehensive Power in the Lowy Institute’s Asia Power Index 2025, scoring 40.0/100 — a 0.9-point (+2%) gain from last year.
According to Lowy’s analysis:
🔹 “India is a major power in Asia, having regained the 40-point… pic.twitter.com/ODtV4LIdyn
— Amit Malviya (@amitmalviya) November 28, 2025
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে: করোনার মতো মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কগুলিতে ভারত উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর সক্ষমতাও শক্তিশালী হয়েছে। লোই ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত ভবিষ্যতে একটি প্রধান এশীয় শক্তি হিসেবে তার অবস্থান আরও সুসংহত করতে পারে। এদিকে, এই তালিকায় প্রথম দশেও স্থান পায়নি। পাকিস্তান। ভারতের এই পড়শি দেশ রয়েছে ১৬ নম্বর স্থানে।
আরও পড়ুন: ১,৭০০ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন! এই সংস্থার শেয়ার রকেটের গতি, আপনার পোর্টফোলিওতে আছে নাকি?
আমেরিকাকে টক্কর দিচ্ছে চিন: এই সূচকে অন্যান্য দেশের মধ্যে, ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার অবস্থান উন্নত হয়েছে। এদিকে, জাপানের বেশ কয়েকটি সেক্টরে দুর্বলতা প্রকাশ পেলেও সামগ্রিকভাবে ওই দেশের শক্তি স্থিতিশীল রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ক্ষমতায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যতে তার অবস্থান ধরে রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও, আমেরিকার জন্য উদ্বেগজনক বিষয় হল চিন ধীরে ধীরে তার কাছাকাছি চলে আসছে।
তালিকায় প্রথম দশে থাকা দেশগুলির স্কোর:
১. আমেরিকা- ৮০.৪
২. চিন- ৭৩.৭
৩. ভারত- ৪০.০
৪. জাপান- ৩৮.৮
৫. রাশিয়া- ৩২.১
৬. অস্ট্রেলিয়া- ৩১.৮
৭. দক্ষিণ কোরিয়া- ৩১.৫
৮. সিঙ্গাপুর- ২৬.৮
৯. ইন্দোনেশিয়া- ২২.৪
১০. মালয়েশিয়া- ২০.৫












