কলেজ যাওয়ার নাম করে বেপাত্তা গৃহবধূ, “যেখানে আছি, ভালো আছি” জানিয়ে দিলেন মেসেজে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি মাসের ৩ তারিখ কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বছর পঁচিশের অর্চনা ভঞ্জ। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বিয়ের পাঁচ মাস পর কলেজ যাওয়ার পথে উধাও হয়ে যান অর্চনা।

শেষে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর হদিশ না পেয়ে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা প্রথমে যান ডেবরা থানায়। তারপরই তাঁরা দ্বারস্থ হন খড়্গপুর লোকাল থানার। পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে ওই থানায়। তবে, প্রায় পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ওই গৃহবধূ।

এদিকে, গত ৪ তারিখ বিকেলে অর্চনার মায়ের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজে লেখা রয়েছে “আমি বাইরে চলে এসেছি, যেখানেই আছি ভালো আছি, আমি ওদের সঙ্গে থাকতে পারবোনা, তাই যার কাছে ভালো থাকতে পারব তার কাছে আছি”। তবে, এই মেসেজ আসার পরও স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠা কাটেনি গৃহবধূর বাপেরবাড়ি-শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। হন্যে হয়ে এখনও খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা।

পাশাপাশি, মেয়ের খোঁজ পেতে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকেও অর্চনার ছবি দিয়ে সন্ধানের সাহায্য চেয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাঁচ মাস আগে খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত চক গোবিন্দপুরে তাপস সুর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় অর্চনার। পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাপের বাড়ি হওয়ায়, সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর।

WhatsApp Image 2022 01 09 at 4.51.09 PM

ডেবরা কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অর্চনা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে পুত্রবধূর ইচ্ছে ফেরাতে পারেননি অর্চনার শ্বশুরমশাই অশ্বিনী সুর। মিলেছিল কলেজে পড়ার অনুমতি। পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী তাপসের সঙ্গে পাঁচ মাসের দাম্পত্যে কোনও ফাটল ছিল না বলেই দাবি করেছেন পরিবারের সকলে।

এদিকে বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরেও মেয়ের খোঁজ না পাওয়ার প্রসঙ্গে অর্চনার বাবা শঙ্কর ভঞ্জ জানিয়েছেন, “মেয়ে নিজের ইচ্ছাতে কোথাও চলে গিয়েছে, নাকি অপহরণ করা হয়েছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। ওকে পাচারও করে দেওয়া হতে পারে।” যদিও, পুলিশ ইতিমধ্যেই অর্চনার মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পাশাপাশি, “পরকীয়া”র প্রসঙ্গও উড়িয়ে দিচ্ছেনা পুলিশ।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর