বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলা। বিশেষত দুই ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিধ্বংসী আক্রমণ চালিয়েছিল ইয়াস। যার জেরে ভেঙেছে প্রায় ১২৪ টি নদী বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লক্ষেরও বেশী ঘরবাড়ি।
এখনো বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবে রয়েছে জলের তলায়। কলকাতায় আমফানের মত ক্ষতি না হলেও ভারী বর্ষণের জেরে এই মুহূর্তে জলমগ্ন বেশ কিছু অঞ্চল। একদিকে যেমন ওড়িশার প্রায় ১২৮ টি গ্রাম লন্ডভন্ড করেছে ইয়াস, তেমনই ভারী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুড়েও।
তবে আবহাওয়াবিদদের মতে ইয়াসের অনেকটাই কমেছে। বিশেষত ভরা কোটালের সময় আছড়ে পড়ায় আরো বেশি মারাত্মক হয়ে উঠেছিল এই ঝড়ের ক্ষমতা। গতকাল থেকেই তা ক্রমশ সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। যদিও ইয়াস যতই ক্ষমতা হারাচ্ছে, ততই তা পরিণত হচ্ছে ভারী গভীর নিম্নচাপে।
এই নিম্নচাপের জেরে গতকাল বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। আজ সকাল থেকেই রয়েছে মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে দেখা গিয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু এলাকাতেও। তবে এই বৃষ্টিপাত গত দুদিনের মতো তা না চলবে না, মাঝে মাঝে দেখা যাবে রোদের মুখ।
আবহাওয়া দপ্তরের মতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩১.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রী কম। অন্যদিকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রী কম। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৩ সেন্টিমিটারের কিছু বেশি। শুক্রবার থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে।
এছাড়া দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলির মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বেশ কিছুটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ রয়েছে ৯১%। তাই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সারাদিন থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ।