বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশে সর্বপ্রথম মেট্রোর (Kolkata Metro) চাকা গড়িয়েছিল খাস কলকাতাতেই। যদিও পরে আকারে বহরে দিল্লি মেট্রো হয়ে ওঠে বেশি জনপ্রিয়। বিভিন্ন রঙের লাইনের জন্য পরিচিত দিল্লি মেট্রো। তবে এবার পিছিয়ে থাকবে না কলকাতাও। বিভিন্ন রুটে শহর এবং শহরতলিকে জুড়ে দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। এক একটি রুটের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রঙের লাইন। কিন্তু কোন লাইনের মেট্রো কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে এখনও অনেকের ধন্দ রয়ে গিয়েছে।
মেট্রো (Kolkata Metro) পথে জুড়ে যাচ্ছে গোটা শহর কলকাতা
আজ শুক্রবার বিমানবন্দর থেকে ইয়েলো লাইনের মেট্রো রুটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহের মাঝের দূরত্ব জুড়ে যাচ্ছে গ্রিন লাইনে। কিন্তু এই লাইনগুলি কোনটা কোন দিকে যাচ্ছে? উল্লেখ্য, শহর কলকাতার প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) লাইন হল ব্লু লাইন। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত রয়েছে এই রুট। আর এই রুটের কেন্দ্রস্থল হল এসপ্ল্যানেড, পার্কস্ট্রিট এবং রবীন্দ্র সদন।
কোন লাইন কোনদিকে যাচ্ছে: গ্রিন লাইন মেট্রো হল হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন হয়ে হাওড়া ময়দান-সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। এতদিন হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত দুভাগে চলত এই লাইনের মেট্রো (Kolkata Metro)। কিন্তু এবার তা জুড়ে গেলে এক ঘন্টার রাস্তা পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র ৯ মিনিটে। নোয়াপাড়া-জয়-জয় হিন্দ বিমানবন্দর রুট হল ইয়েলো লাইন। এসপ্ল্যানেড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কপথে এক ঘন্টা সময় লাগত আগে। কিন্তু মেট্রো (Kolkata Metro) চালু হওয়ায় এই রাস্তা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট।
গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিকে যুক্ত করবে: হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত রুট হল অরেঞ্জ লাইন। এই নতুন রুট বেলেঘাটা এবং সায়েন্স সিটির কাছে বড় হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করবে। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। ফলত ব্যস্ত সময়ে অফিসযাত্রীদের সুবিধা হবে অনেকটাই। জোকা থেকে তারাতলার পার্পল লাইনের মেট্রো (Kolkata Metro) রুট ভিক্টোরিয়া হয়ে এসপ্ল্যানেড আসবে।
আরও পড়ুন : উলটপুরাণ! দাম অর্ধেকেরও কম, ভারতীয় ইলিশ কিনতে হুড়োহুড়ি খাস বাংলাদেশের বাজারে
মূল শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলির সঙ্গে শহরতলির বিভিন্ন এলাকাগুলিকে যুক্ত করছে মেট্রো। নতুন নতুন রুটের উদ্বোধন এবং সেই রুটগুলি জুড়ে যাওয়ায় একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর ফলে ব্যস্ত সময়েও খুব তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে।