পাকিস্তান-বাংলাদেশকে রণতরী-সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে কোন দেশ? রাখঢাক না রেখে জানিয়ে দিল পেন্টাগন

Published on:

Published on:

Which country is supplying military equipment to Pakistan-Bangladesh?
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিন অস্ত্র সজ্জায় সাজিয়ে তুলছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে (Pakistan-Bangladesh)! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে মার্কিন এক রিপোর্টে। বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে চিনের সামরিক প্রভাব দ্রুত বেড়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে রণতরী-সহ একাধিক আধুনিক নৌ ও আকাশ প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে বেজিং। রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনার জমানাতেই ২০১৭ সালে বাংলাদেশকে চিন দুটি ফ্রিগেট বিক্রি করে। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর হাতে তিনটি যুদ্ধজাহাজ তুলে দেয় চিন।

চিন অস্ত্র সজ্জায় সাজিয়ে তুলছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে (Pakistan-Bangladesh)!

পেন্টাগনের রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানে একটি এয়ারবেস স্থাপনের বিষয়েও আগ্রহ দেখাচ্ছে চিন। পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে নৌ-সামরিক সরঞ্জাম রফতানি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বেজিংয়ের। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে চিন ইতিমধ্যেই ২০টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান ডেলিভারি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট ৩৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানকে দেওয়ার কথা চিনের, যা ইসলামাবাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:SSC-তে ‘যোগ্য’ কারা? লিখিত অর্ডারে স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট, এল বড় নির্দেশ

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকেও চিন নিজেদের তৈরি সামরিক ট্যাঙ্ক বিক্রি করেছে। বিশেষ করে ভিটি-৫ লাইট ট্যাঙ্ক বাংলাদেশে রফতানি করা হয়েছে বলে দাবি। পাশাপাশি ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে দুটি মিং ক্লাস সাবমেরিন দিয়েছিল চিন। একই ধরনের একটি মিং ক্লাস সাবমেরিন মায়ানমারকেও বিক্রি করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত চিন অন্য কোনও দেশকে তাদের উন্নত ইউয়ান ক্লাস সাবমেরিন সরবরাহ করেনি। পেন্টাগনের দাবি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পাশাপাশি মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডেও নৌসামরিক সরঞ্জামের বাজার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বেজিংয়ের।

এদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও চিনের মধ্যে জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগেও দাবি উঠেছিল, চিনে তৈরি যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। পাকিস্তান সফরের সময় বাংলাদেশি সেনা কর্তাদের সঙ্গে পাক সেনা নেতৃত্বের একাধিক বৈঠক হয়।

Which country is supplying military equipment to Pakistan-Bangladesh?

আরও পড়ুন:২৪ ঘণ্টায় বদলে যাবে পুরো চিত্র! রাত পোহালেই আবহাওয়ার নতুন ‘গেম’, আগাম আপডেট

অন্যদিকে, রিপোর্টে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান চিনের তৈরি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান লিবিয়াকে বিক্রি করতে চলেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে লিবিয়ার উপর রাষ্ট্রসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তান, যা বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, সেই দেশেই অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ। এই চুক্তি অনুযায়ী, খলিফা হাফতারের বাহিনী পাকিস্তান থেকে ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান এবং ১২টি সুপার মাশাক প্রশিক্ষণ বিমান পাবে। গোটা বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।