বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের (Duttapukur) এক বাসিন্দাকে চড় খেতে হলো তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক নেতার হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা অঞ্চলে। কিন্তু কী কারণে এই বাসিন্দার গালে সপাটে কষিয়ে চড় মারতে গেলেন মন্ত্রীমশাইয়ের শাগরেদরা? সূত্রের খবর, সাগর বিশ্বাস নামের ওই যুবক মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রণিত ‘দিদির দূত’ নামে যে প্রকল্প আছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যান।
সাগর ঘোষের একের পর এক অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং তারপরেই যুবককের গালে একটি চড় মারা হয়। যুবকটিকে তৃণমূলের কর্মীরা অনেক কথাও শোনানোর সাথে সাথে তাঁকে ভয় দেখাতেও ছাড়েনি। এমনকী, এক কর্মী তাঁর গায়ে হাত তোলে (Beaten up) বলেও অভিযোগ (Complaint) এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে ওই ঘটনার স্থান থেকে প্রায় লাথি মেরে তাঁরা বার করে দেন।
তৃণমূল কর্মীদের এমন আচরণে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে কোথায় আজ মনুষত্ব? সাগরের তো কোনো দোষ ছিল না, তারপরেও তাঁকে আক্রান্ত হতে হলো একটি রাজনৈতিক দলের হাতে। এমনকী সাগর যাতে কোনো সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই নিয়ে মুখ না খোলেন তাই তাঁরা তাঁকে শাসানিও দিতে ছাড়েনি। তবে, সাগর এতে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন এবং সকলের সামনে মুখ খোলেন।
প্রাথমিক অবস্থায় মন্ত্রী মশাই খুব একটা প্রতিক্রিয়া না দিলেও যখন তিনি বুঝতে পারেন গোটা বিষয়টি তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন তিনি সাগরের কাছে দু জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই গত কয়েক দিনে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ‘দূত’-এর সামনেই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম প্রকাশ্যে এল।