বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে রাজ্যে। দুর্গাপুরে (Durgapur Rape Case) মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় চলছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই দুর্গাপুরের (Durgapur Rape Case) ওই মেডিকেল কলেজের লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আবার ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন এবং অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুর গণধর্ষণ (Durgapur Rape Case) কাণ্ডে কারা গ্রেফতার?
রবিবার গ্রেফতার হয়েছেন শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি এবং ফেরদৌস শেখ। এঁদের মধ্যে রিয়াজউদ্দিনের বাড়ি ওই মেডিকেল (Durgapur Rape Case) কলেজের পাশেই বিজড়া ডাঙাপাড়ায়। কয়েক বছর আগে ওই কলেজেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন বছর ৩১ এর রিয়াজউদ্দিন।
কে কে গ্রেফতার: তাঁর বৌদি বলেন, পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় তাঁকে। নিজের ইচ্ছাতেই নাকি নিরাপত্তারক্ষীর কাজটা ছেড়েছিলেন তিনি। এখন আর কিছু করেন না তিনি।বছর ২৩ এর ফিরদৌস দুর্গাপুরের (Durgapur Rape Case) মিশন হাসপাতালে জেনারেল ডিউটি অ্যাটেনডেন্টের কাজ করতেন। তাঁর কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার মোবাইল।
আরও পড়ুন : ‘কোল্ডরিফ’ সিরাপে মৃত্যুর ছায়া, নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র ও রাজ্য, লাইসেন্স বাতিল, একাধিক রাজ্যে বিক্রি নিষিদ্ধ
কী পরিচয় ধৃতদের: এদিকে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় অস্থায়ী কর্মী। এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। বিজড়া ডাঙাপাড়ার আরেক বাসিন্দা ২১ বছরের অপু বাউড়িকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। তাঁর স্ত্রীর দাবি, তাঁরা নাকি একসঙ্গেই ঘুমিয়েছিলেন। ফাঁসানো হচ্ছে তাঁর স্বামীকে।
সোমবার গ্রেফতার হয়েছে শেখ নাসিরউদ্দিন। স্থানীয়দের দাবি, বছর ২৩ এর শেখ নাসিরউদ্দিন দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। প্রতিবেশীদের অনেকে দাবি করেছেন, ধৃতের বাবা তৃণমূল নেতা। ওইদিনই গ্রেফতার হয়েছে বছর ৩০ সফিক শেখ। সোমবারের ধৃত ২ জনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।