বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের (Hydroxychloroquine) ট্রায়াল বন্ধ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ম্যালেরিয়ার যে ওষুধকে করোনার সাময়িক প্রতিষেধক রূপে প্রস্তাবিত করেছিলেন, সেই ওষুধ ব্যবহার এবার বন্ধ করতে বলল WHO। মানুষের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে, অস্থায়ী ভাবে এই ওষুধের প্রয়োগ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আমেরিকাসহ ১৩৩ টি দেশকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন রপ্তানি করেছিল ভারত
করোনা ভাইরাসের সাময়িক প্রতিষেধক রূপে ভারত থেকে বিরাট পরিমাণে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন দাবী করেছিল আমেরিকা। প্রাথমিক দিকে রাজী না হলেও, পরবর্তীতে ওষুধের উপর থেকে রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বন্ধু দেশ আমেরিকাকে এই ওষুধ দিয়ে সংকটের সময় সাহায্য করেছিল ভারত। শুধুমাত্র আমেরিকাই নয়, আরও প্রায় ১৩৩ টি দেশকে এই ওষুধ রপ্তানি করেছিল ভারত। কিন্তু বর্তমানে এই ওষুধ প্রয়োগে অস্থায়ীভাবে বাঁধা দিচ্ছে WHO।
নিষেধাজ্ঞা জারী করল WHO
হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন প্রয়োগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে WHO জানাচ্ছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে- হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ব্যবহারকারী করোনা আক্রান্তদের উপকারের বদলে, অপকারটাই বেশি হচ্ছে। তাঁদের পেশ করা রিপোর্ট অনুসারে, হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন না প্রয়োগের মৃতের সংখ্যার তুলনায় এই ওষুধ প্রয়োগে মৃতের সংখ্যা বেশি।
দোষারোপ করা হচ্ছে ট্রাম্পকে
ভারতে অনেক বেশি পরিমাণে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক এই হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন প্রস্তুত করা হয়। ভারতের থেকে এই ওষুধ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনেক ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বর্তমানে কোন ক্লিনিক্যাল প্রমাণ ছাড়াই লাগাতার এই ওষুধ ব্যবহারের বিষয়কে সামনে আনার জন্য, দোষী মানা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। কিন্তু কোন কিছুতে কর্ণপাত না করেই তিনি এই ওষুধের ব্যবহাররে পক্ষে রয়েছেন।
ষড়যন্ত্র হতে পারে চীনের
হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ব্যবহারের এতদিন পর হঠাৎ করে তাতে নিষেধাজ্ঞা জারী করায় WHO-এর সাথে চীনের যোগসাজশের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। এই বিষয়কে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় জল্পনা রয়েছে তুঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথম পর্ব থেকেই WHO-কে চীনের মুখপাত্র বলে দোষারোপ করে আসছেন। এমনকি আর্থিক সাহায্য দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে WHO-কে।