বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ নামক একটি ওয়েব সিরিজ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। এই ওয়েব সিরিজটি ১৯৯৯ সালে কান্দাহার হাইজ্যাকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। রুপিন কাটিয়ালকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাও দেখানো হয়েছে এই ওয়েব সিরিজে। এই ওয়েব সিরিজ নেটফ্লিক্সে আসার পর অনেকের মনে জেগেছে প্রশ্ন।
রুপিন কাটিয়ালের (Rupin Katyal) হত্যা
টানটান উত্তেজনায় ভরা এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে আলোচনাও কম হচ্ছে না। রুপিন কাটিয়াল (Rupin Katyal) মধুচন্দ্রিমা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন স্ত্রী রচনার সাথে। কাঠমান্ডু থেকে আইসি ৮১৪ (IC 814) ফ্লাইটে স্ত্রী রচনাকে নিয়ে রুপিন যখন চড়ে বসেছিলেন, তখন তিনি নিজেও জানতেন না আগামী কয়েকটা ঘন্টায় কী হতে চলেছে তাঁর সাথে।
আরোও পড়ুন : ক্রমশ বাড়ছে আম্বানির দাপট! এবার এই প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য Reliance-কে ৩,৬২০ কোটি টাকা দেবে সরকার
আইসি ৮১৪ (IC 814) ফ্লাইট যখন মাঝ আকাশে তখন সেটি হাইজ্যাক হয়। বিমানের মধ্যেই জঙ্গিরা কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করে রুপিনকে (Rupin Katyal)। তবে স্বামীর এই পরিণতির কথা জানতেন না স্ত্রী রচনা। ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে, বিমান হাইজ্যাক করার পর অপহরণকারীরা রুপিন সহ প্রায় ১০ জন যাত্রীকে নিয়ে যায় বিজনেস ক্লাসে।
আরোও পড়ুন : তাড়াহুড়োয় তৎকাল টিকিট তো কাটলেন! আদৌ কনফার্ম তো? এই উপায়ে বুঝে নিন আগেভাগেই
সেদিনই জঙ্গিরা হত্যা করে রুপিনকে। সামান্য কিছু সময়ের জন্য অপহরণকারীরা বিমান দুবাইতে অবতরণ করিয়েছিল। সেখানেই ফেলে দেওয়া হয়েছিল রুপিনের (Rupin Katyal) মৃতদেহ। সেই সময় এক জনৈক ব্যবহারকারীর রেডিফ-এ পোস্ট করা এফআইআর-এর কপি থেকে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা রুপিনের পেটে একবার, বুকে চারবার এবং ঘাড়ে দু’বার এবং মুখে ছয় বার ছুরির আঘাত করেছিল।
জাগলার ভেন একেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। একটি সাক্ষাৎকারে রচনা জানিয়েছিলেন, তিনি স্বামীর মৃত্যুর খবর জানতেন না। ভারত সরকার ৮ দিন পর ভারতের জেল থেকে ৩ কুখ্যাত জঙ্গিকে মুক্তি দিলে তাঁরা মুক্ত হন হাইজ্যাকারদের কাছ থেকে। রচনা বলেন, যে সময় তিনি মুক্তি পান তিনি জানতেন যে তাঁর স্বামীও হয়ত তাঁদের সাথে মুক্তি পাবেন।
রচনার কথায়, “আমি জানতাম না রুপিন নেই। ওঁর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানও হয়ে গিয়েছিল। তখনও কিছু জানতে পারিনি। বারবার রুপিনের কথা জিজ্ঞেস করতাম। সবাই বিষয়টা এড়িয়ে যেত। অবশেষে একদিন সত্যিটা সামনে এল। আমি হিস্টিরিয়াগ্রস্থ রোগীর মতো হয়ে যাচ্ছিলাম। শ্বশুর একদিন রুপিনের একটা ছবির আঙুল তুলে বললেন, ‘ওই তোমার রুপিন’।’’