বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০০ -এর বেশি আসন নিয়ে বাংলা (west bengal) জয়ের স্বপ্ন কার্যত ধূলিস্মাৎ হয় বিজেপি (bjp) শিবিরের। নির্বাচনের পূর্বে বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বহুবার বাংলায় এসে সভা করেছেন। কিন্তু ভোট পূর্বে হাওয়া একরকম থাকলেও, ফলপ্রকশের মধ্য দিয়েই মানুষ বুঝিয়ে দিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।
এই পরিস্থিতিতে দলের ভরাডুবির জন্য দলবদলুদেরকেই দায়ী করছে আবার বিজেপির একাংশ। অনেকের দাবী, তৃণমূল ছেড়ে যারা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদের মানুষ ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি। আর তারই প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে। দলের এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। সেইসঙ্গে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বিষয়েও মন্তব্য করলেন।
কিছুদিন আগেই এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যতদিন বাঁচব, ততদিন মমতা ব্যানার্জিকে শ্রদ্ধা করে যাব’। রাজীবের মুখ থেকে এই কথা শোনা মাত্রই জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এরপরই আবার নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট পেয়েও পরাজিত হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোন ব্যক্তিকে যদি কেউ শ্রদ্ধা করে থাকেন, তাহলে সেবিষয়ে কিছুই বলার থাকে না। তবে বিজেপির হেরে যাওয়া আসনগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বিজেপি শিবির। রাজ্য তথা এই গোটা দেশের এই সংকটের পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যদি সাহায্য চায়, তাহলে আমরা এগিয়ে যাব’।
অন্যদিকে জয়ের পর মুকুল রায়ের কার্যকলাপ দেখে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে ট্যুইটে তিনি জানান, ‘বিজেপির একজন সৈনিক হয়েই আমি লড়াই জারি রাখব’। নির্বাচনের পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন, মুকুল রায় কিংবা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে কোন একজনকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে দেখা যাবে। তবে এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সোমবার চূড়ান্ত করা হবে কে হবেন বিরোধী দলনেতা। এখনই এবিষয়ে মন্তব্য করব না’।