বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ রাজ্যেও বেজে গিয়েছে এসআইআর (SIR) এর দামামা। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনী। কিন্তু ঘোষণা হতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, নথিপত্র নিয়ে। ১১ টি নথির মধ্যে কী কী দিতে হবে, তা ভেবেই চিন্তায় পড়েছেন অনেকে। তবে এর মধ্যেও কিছু জন আছে যাদের কোনোরকম নথির প্রয়োজন পড়বে না। এসআইআর (SIR) নিয়ে চিন্তা করারও কোনো কারণ নেই তাদের। ।
এসআইআর (SIR) নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা এদের
এসআইআর প্রক্রিয়ায় কাদের নথি দিতে হবে, কাদের কোনো নথি দিতে হবে না তা স্পষ্ট ষনির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে নঘথ তাদের এবার কোনও নথি জমা দিতে হবে না। ওই তালিকায় বাবা মায়ের নাম থাকলেও লাগবে না কোনো নথি। শুধু কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ম্যাচিং’ করিয়ে নিতে হবে। সেটা ভোটাররা নিজেরাই করে নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বাংলায় এসআইআর হয়েছিল। তাই ওই বছরকে এর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

কাদের লাগবে নথি: ২০০২ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া এগোবে এ রাজ্যে। ওই সালের ভোটার তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে যাদের নাম রয়েছে তাদের আর এবার কোনো নথি লাগবে না। তবে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নিজের বা বাবা মায়ের নাম নেই তাদের নথি দিয়ে তুলতে হবে নাম।
আরও পড়ুন : তিনি যা খান তা কেউই খেতে চায় না, কী এমন থাকে মহুয়ার লাঞ্চে?
কোন কোন নথি দরকার: ১১ টি নথির তালিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র বা রাজ্য বা কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী বা পেনশন প্রাপকের পেনশন পেমেন্ট অর্ডার। ১.০৭.১৯৮৭ তারিখের আগের সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা ডাকঘর বা ব্যাঙ্ক বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দ্বারা প্রদত্ত যে কোনো পরিচয়পত্র, শংসাপত্র বা নথি। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রদত্ত জন্ম শংসাপত্র, স্বীকৃত বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ম্যাট্রিক এবং অন্যান্য শিক্ষাগত সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন: উলটে গেল হিসেব, দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? ধরিয়ে দিলেন নির্যাতিতা স্বয়ং
পাসপোর্ট, বন অধিকার সার্টিফিকেট, স্থায়ী আবাসিক সার্টিফিকেট, জাতীয় নাগরিক রেজিস্টার, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অন্যান্য বিসি বা এসসি বা এসটি সার্টিফিকেট, রাজ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পারিবারিক রেজিস্টার, সরকারের কাছ থেকে কোনও বাড়ি বা জমি বরাদ্দের শংসাপত্র। পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডও দেখানো যাবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে নাগরিকত্বের দাবি করা যাবে। আধারের সঙ্গে ১১ টি নথির যেকোনো একটি দিতে হবে।













