বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে চরম বিখ্যাত হয়ে ওঠা একটি শ্লোগান ছিল দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) রচিত ‘খেলা হবে’। যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীদের ‘ওয়ার ক্রাই’ বলেও ব্যাখ্যা করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন রাজ্যে ক্রীড়া ব্যবস্থার উন্নয়নে পালিত হবে খেলা হবে দিবস (Khela Hobe Divas)। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ১৬ আগস্ট ‘খেলা হবে দিবসের’ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “খেলা একটা হয়েছে। এরাজ্যের নির্বাচনে। আবার খেলা হবে। বিজেপিকে ভারত থেকে বিতাড়িত না করা অবধি খেলা হবে।”
কিন্তু কেন ১৬ আগস্টকেই বেছে নেওয়া হলো ‘খেলা হবে’ দিবস হিসেবে? আজ নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা জানান, ১৯৮০ সালের ১০ আগস্ট কলকাতা ফুটবলের জন্য এক মর্মান্তিক দিন। কলকাতা লিগের ম্যাচ দেখতে গিয়ে এদিন পদপৃষ্ট হয়ে মারা যান ১৬ জন সমর্থক। তাদের স্মৃতিতেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই দিনটিকে।
সাথে সাথেই তিনি আরও জানান, “১৬ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ঠিক পরদিনই পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। দেশের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশ যাতে এই সমস্ত কিছু থেকে মুক্তি পায়। মানুষের স্বাধীনতা যাতে অক্ষুণ্ন থাকে। সেজন্যই আয়োজিত হবে এই ‘খেলা হবে’ দিবস।”
এই বিশেষ দিনটিতে একাধিক প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এদিন কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবের হাতে এবং আই এফ এর ২৮০ টি ক্লাবের হাতে দশটি করে বল তুলে দেওয়া হবে। এই বলগুলি তৈরি করছেন বাংলার মায়েরা, ফুটবলগুলির নাম ‘জয়ী’ ফুটবল। মমতা আরও জানান গ্রাম গঞ্জের প্রায় এক লক্ষ ক্লাবের হাতে ঐদিন ফুটবল তুলে দেওয়া হবে। সকলে যাতে আরও বেশি খেলার প্রতি আগ্রহী হন সেই জন্যেই এই অনুষ্ঠান। তিনি জানান ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার বলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এই বছর থেকেই এই দিবস পালন করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।