বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক দেশ থেকে আরেক দেশে হুস হুস করে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে একমাত্র প্লেন (Aeroplane)। লন্ডন থেকে আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স যেখানেই চাইবেন সেখানেই ঘুরে আসতে পারবেন। তাও আবার খুবই কম সময়ে। আকাশপথে মেঘেদের বুক চিড়ে এগিয়ে যায় এই যান। কিন্তু প্লেনকে সবসময় আকাশেই উড়তে দেখেছেন। কখনো কি দেখেছেন মহাকাশে উড়তে? আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, কেনো প্লেন (Aeroplane) মহাকাশে ওড়ে না? তার উত্তর কিন্তু কেউই দিতে পারবে না! এমনকি প্লেনে চড়া যাত্রীরাও নিরুত্তর।
কেন প্লেন (Aeroplane) মহাকাশে ওড়ে না?
আমরা দেখি, বিমান রানওয়েতে খানিকটা ছুটে আস্তে আস্তে আকাশে উড়তে থাকে। তারপর ভেসে থাকে বাতাসে, বাতাস কেটে এগিয়ে যেতে থাকে নির্ধারিত গন্তব্যের পথে। আর সেই সময় প্রশ্ন জাগে কেনো মহাকাশে যেতে পারে না? এই দিকে রকেট অনায়াসে মহাকাশে চলে যাচ্ছে। কিন্ত দুটোই তো সেই আকাশপথে যাচ্ছে? তাহলে বিমানের ক্ষেত্রে কিসের তফাৎ রয়েছে? মহাকাশে বিমান না যাওয়ার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখা।
আরোও পড়ুন : পুজোয় জলে গেল একটা গোটা ছুটি! রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া আপডেট
আসলে বিমান ওড়ার জন্য প্রয়োজন বাতাসের। বিশেষ করে বিমানের ইঞ্জিনে প্রয়োজন হয় বাতাসের। এই বাতাসের মাধ্যমেই প্লেন আকাশে অনায়াসে ভেসে থাকতে পারে। এরোপ্লেনের নামের মধ্যেই আছে রয়েছে প্রশ্নের উত্তর৷ Air বা বাতাস থেকে এসেছে Airplane বা Aeroplane৷ অর্থাৎ এই যানের জন্য উড়তে দরকার হয় বাতাস বা বায়ুমণ্ডলের৷ নইলে প্লেন উড়তে পারে না। এছাড়াও প্লেনের ডিজাইন এমন ভাবে করা হয়েছে, কোথাও বাতাসের অভাব হলে সঙ্গে সঙ্গে প্লেন নীচে নামতে শুরু করে।
কিন্তু মহাকাশ হচ্ছে বায়ুশূণ্য। তাই সেখানে বিমান ওড়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আর রকেট যে মহাকাশে যায় তাতে বিভিন্ন সিস্টেম দেওয়া থাকে। প্রত্যেকটি রকেটে নিজস্ব প্রপেল্যান্ট এবং অক্সিজেনের যোগানের মত সিস্টেম দেওয়া থাকে। এছাড়াও মহাকাশ বাতাসহীন হওয়ার ফলে রকেটের ইঞ্জিন উচ্চ গতিতে বহিষ্কৃত নিষ্কাশনের প্রতিক্রিয়া দ্বারা থ্রাস্ট তৈরি করে। এরফলেই মহাকাশে রকেট উড়তে পারে কিন্তু প্লেন (Aeroplane) নয়।