বাংলা হান্ট ডেস্ক: রবিবার ২৬ মে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় মাঝরাতে ল্যান্ডফল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Remal Cyclone)। যার জেরে ইতিমধ্যেই বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। যদিও আবহাওয়া দপ্তরের তরফে পাওয়া শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এখন শক্তি হারিয়ে নিন্মচাপে পরিণত হয়েছে রেমাল।
তবে ইতিহাস বলছে এর আগে বাংলায় যত গুলো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার সিংহভাগ-ই কিন্তু হয়েছে এই মে মাসেই। তাই রেমাল আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে একটি প্রশ্ন। তা হল মে মাসেই কেন বার বার আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়? কি বলছেন বিষেশজ্ঞরা?
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বর্ষা আসার আগে ও পরে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ নাকি অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এই সময় নাকি সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থাকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণতহওয়ার জন্য এই দুই অনুকূল পরিস্থিতিই নাকি একেবারে আদর্শ হয়ে থাকে ।
যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ সোমনাথ দত্ত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন, লো প্রেশার বা নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে বলা হয় সাইক্লোজেনেসিস। আর এই সাইক্লোজেনেসিস তৈরি হওয়ার জন্য দরকার হয় বেশ কয়েকটি অনুকূল পরিস্থিতির। যার মধ্যে অন্যতম হল ওয়ার্ম সি সারফেস টেম্পারেচার।
আরও পড়ুন: আজই রেহাই নেই! টানা ৫ দিন ঝড়-বৃষ্টি চলবে বাংলার এই জেলাগুলিতে, জারি হল সতর্কতা
আর এই মার্চ, এপ্রিল, মে মাসেই অর্থাৎ গরমকালে সি সারফেস টেম্পারেচার বা সমুদ্রের জলের উপরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। এমনকি এই তাপমাত্রা বজায় থাকে জলের প্রায় ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত। মূলত এই কারণেই মার্চ, এপ্রিল, মে কিংবা বাংলার কোথাও কোথাও জুন মাসেও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। তবে বর্ষা চলে আসার পরে পরিস্থিতি এমনটা থাকে না।
বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া অতীতের ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে ২০০৯ সালের ২৫শে মে আয়লা এসেছিল বাংলায়। তারপর সেই ২০১৯ সালের মে মাসেই এসেছিল ফণি। করোনা আবহে আমফান এসেছিল মে মাসেই। পরবর্তীতে আবার ২৬শে মে এসেছিল ইয়াস। আর রবিবার সেই ২৬শে মে মধ্য়রাতেই এসেছে রেমাল।