বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে পাকিস্তান (Pakistan) দেশে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) ন্যায় পাকিস্তানের সংকট পরবর্তী সময়ে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানি মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে খাদ্য এবং অন্যান্য একাধিক সংকটে কাহিল মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ (IMF) এর কাছ থেকে বেলআউট প্যাকেজ পাওয়া তো দূরের কথা, বর্তমানে তাদের বিশেষ ‘বন্ধু’ চীন-ও তাদেরকে ‘বোঝা’ ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে, বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সে দেশের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের মন্তব্যে এই প্রসঙ্গটি ক্রমশ ঘুরেফিরে এসেছে। যে চীনের বিপদে এক সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তান, বর্তমানে তাদের সাহায্যে বরং ক্রমশ মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ড্রাগন দেশটি।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক কামরান ইউসুফ বলেন, “পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। চীন যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, তখন আমাদের দেশ তাদের সমর্থন জানায়। চীন কখনোই অন্যের উপকার ভুলে যায় না। তবে বর্তমানে তারা আমাদেরকে ‘বোঝা’ ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি, দুই দেশের মধ্যে একটি বৈঠক চলাকালীন পাঁচজন চীনা বিশেষজ্ঞের মধ্যে চারজনই পাকিস্তানকে চীনের জন্য দায়িত্ব কিংবা বোঝা প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একজনই আমাদের দেশের পক্ষে রায় দেয়।”
তাঁর মতে, “আমাদের সঙ্গে চীনের পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো হওয়া সত্বেও বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে চীনেরও অস্বস্তিক ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই প্রসঙ্গে আমাদের ভাবতে হবে।” একইভাবে পাকিস্তানের প্রাক্তন এক মন্ত্রীর কথায়, “চীন, দুবাই, কাতার থেকে শুরু করে সৌদি আরবের মতো দেশগুলি আমাদের সাহায্যে অগ্রসর হয়নি। অপরদিকে আইএমএফ থেকে প্যাকেজও পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম চলতে থাকলে আগামী সময় পাকিস্তানের জন্য সংকট আরো বৃহত্তর হতে চলেছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইএমএফ-এর কাছ থেকে বেল আউট প্যাকেজের আশায় বেশ কয়েকটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার। সেই কারণেই বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক সংকট আরো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত বেলআউট প্যাকেজ না মেলায় চিন্তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এমনকি, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমেরিকার থেকে সাহায্যও চেয়ে বসেছেন অনেকে। তবে শেষপর্যন্ত সংকট মেটাতে কোন পদক্ষেপ কাজে আসে, সেটাই দেখার।