বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকালে রাজ্যের চারজন বর্তমান এবং প্রাক্তন মন্ত্রীদের নারদ মামলায় গ্রেফতার করতেই বাংলা জুড়ে বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি নিজাম প্যালেসের বাইরেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমনকি ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (mamata banerjee)।
সেখানে গিয়ে তাঁকেও গ্রেফতার করার কথা বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সেখানে টানা ৬ ঘন্টা বসেও ছিলেন। পরবর্তীতে বেলা গড়িয়ে বিকেলের দিকে অবশেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এই বিষয়কে কিন্তু হালকা চোখে দেখেনি সিবিআই। সেখানে সিবিআই ডিআইজির ঘরের সামনে মুখ্যমন্ত্রী কেন বসে থাকলেন, সেই প্রশ্ন উঠে এসেছে নারদ মামলার সওয়াল জবাবে।
সিবিআই পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা প্রশ্ন তোলেন, নিজাম প্যালেসে অভিযুক্ত চারজনকে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকেও গ্রেফতার করার কথা বলেন। আর তারপর থেকেই কলকাতা জুড়ে বিক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই কাজ কি ওনার করা উচিত ছিল?
তিনি আরও বলেন, ওখানে তাঁর প্রায় ৬ ঘণ্টা বসে থাকার পেছনে কি যুক্তি ছিল? এমনকি রাজ্যের আইনমন্ত্রীও শুনানি চলাকালীন নিম্ন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাহলে তো এরপর থেকে সাধারণ গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যাবে।
অন্যদিকে সিবিআই পক্ষের আইনজীবীর পাল্টা জবাব দিয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, এই মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতার সহকর্মী। এই ঘটনার পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা সেখানে বিক্ষোভে প্ররোচনা দিতে নয়, বিক্ষোভ থামাতে গিয়েছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রী তো রাজ্য পুলিশের দফতরে নয় কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে গিয়েছিলেন।