বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই বিবাহিত হিন্দু মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরে আসছে। এটা বিবাহিত হওয়ার একটা প্রতীক। পাশাপাশি স্বামীর মঙ্গল কামনাতেও সিঁদুর পরে থাকেন বিবাহিত মহিলারা। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, সিঁদুরের লাল রঙ স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে ব্যবহার হয়। তাছাড়া এই রঙ শক্তি ও ভালবাসাকেও নির্দেশ করে।
হিন্দু ধর্মে মনে করা হয় স্ত্রী তার সিঁথির সিঁদুরের জোরে স্বামীকে সব বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে। শাস্ত্র অনুযায়ী, সিঁদুরকে শক্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। বলা হয় লাল রঙ সৃষ্টির প্রতীক। নারীর সিঁথিতে সিঁদুর থাকা মানে সে সন্তান ধারনে সক্ষম। শুধু তাই নয়, হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়, মানব শরীরের নানা স্থানে দেবতা বিরাজ করেন। কপালে থাকেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মাকে সম্মান জানাতে সিঁথিতে সিঁদুর পরা রীতি বলে মানা হয় শাস্ত্রে। তবে এর পেছনে শুধুমাত্র ধর্মীয় কারন নেই, রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও।
বিজ্ঞান মতে, মহিলারা মাথার সে স্থানে সিঁদুর পরেন সেখানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ। ফলে সিঁদুর মেডিটেশানে সাহায্য করে। সিঁদুর পরার সময় মাথায় চাপ প্রয়োগ হয়, এটা একপ্রকারের ম্যাসাজ। এর ফলে ঘুমও বাড়ে। সিঁদুরের মধ্যেকার উপাদান মাথা ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ সিঁদুর শরীর ও মন উভয়ের জন্যই জরুরি।
প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় বা বৈজ্ঞানিক কারনে সিঁদুর পরে আসছেন বিবাহিত মহিলারা। কিন্তু এখন সময় পালটেছে। মহিলারা প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র তাদেরই কেন বিবাহিত হওয়ার চিহ্ন দেখাতে হবে। পুরুষরাও আয়ু বৃদ্ধির জন্য বা বিবাহিত হওয়ার জন্য কোনও না কোনও প্রতীক বহন করুক। সিঁদুর পরা বা না পরা ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে।