বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে সচেষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সদ্য ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মধ্যে হওয়া বৈঠক ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন মহলে। আলাস্কায় কিছুদিন আগেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরেছেন ট্রাম্প এবং পুতিন। পরস্পরের দেশে যাননি তাঁরা, বৈঠকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল এক মাঝামাঝি জায়গা।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে চর্চায় ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) ‘সুটকেস’
সেই বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল চোখ ধাঁধানো। দুই রাষ্ট্রনেতার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ফাইটার জেট, সিক্রেট সার্ভিসের ব্যবস্থাও রাখা ছিল। সেইসঙ্গে পুতিনের (Vladimir Putin) দেহরক্ষীদের কাছে ছিল আরও এক বিশেষ ব্যবস্থা। একটি বিশেষ সুটকেস নিজেদের সঙ্গে রেখেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। না কোনো জরুরি নথি রাখার জন্য নয়, এক অন্য কাজে ব্যবহার করা হয় এই সুটকেস। জানলে অবাক হবেন, ওই ‘বিশেষ’ সুটকেস ব্যবহৃত হয় পুতিনের (Vladimir Putin) মলত্যাগ করার জন্য। প্রেসিডেন্টের মল সংগ্রহ করে আবারও তা রাশিয়াতেই ফেরত আনা হয়।
দীর্ঘদিনের অভ্যাস পুতিনের: শুধু ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে নয়। পুতিন (Vladimir Putin) দেশের বাইরে যেখানেই যান, এই সুটকেসও তাঁর সঙ্গে যায়। সেই ১৯৯৯ সাল থেকেই এমন অভ্যাস তাঁর। প্রয়োজন মতো ওই সুটকেসেই মলত্যাগ করেন তিনি, তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাশিয়ায়। অন্য কোথাও ফ্লাশ করা হয় না। কিন্তু এমন ‘বিদঘুটে’ অভ্যাস কেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের? এর পেছনেও কিন্তু রয়েছে এক চাঞ্চল্যকর কারণ, যা জানলে অবাক হয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন : সারাজীবন নিখরচায় ট্রেনে সফর করতে পারেন রেলকর্মী ও তাঁদের পরিবার? কী কী শর্ত মানতে হয়?
কেন এমন ব্যবস্থা: চূড়ান্ত গোপনীয়তা মেনে চলেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর মলের নমুনা পরীক্ষা করে শত্রু পক্ষ তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে পারে। এমনকি তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রও হতে পারে। সেই কারণেই এমন ব্যবস্থা। রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময়েও এই সুটকেস সঙ্গে ছিল পুতিনের দেহরক্ষীদের। তার আগে ২০১৭ সালে ফ্রান্স সফরেও চর্চায় উঠে এসেছিল এই ‘পুপ সুটকেস’।
আরও পড়ুন : TRP গড়িয়ে তলানিতে, বছর ঘুরতেই শেষ হচ্ছে এই সিরিয়াল!
উল্লেখ্য, ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) স্বাস্থ্য সম্পর্কে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে বিভিন্ন সময়। ২০২২, ২০২৩ এর পর গত বছর কাজাকস্তানে সাংবাদিক বৈঠকের সময়ে পুতিনের পা কাঁপার ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। কোনও রকম স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট, এমন জল্পনাও রটেছিল। তারপর থেকেই আরও কড়াকড়ি হয় নিরাপত্তা নিয়ে।