বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে তুমুল সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, সেদেশের অর্থনীতি (Economy) কার্যত ভেঙে পড়েছে। তবে, পাকিস্তানের রাজনীতিই যে সেদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, এটা সেখানকার রাজনীতিবিদরা মানেন না। যদিও, এবার ঘটল অন্যরকম ঘটনা। বলা ভালো, রীতিমতো চরম সত্যিই উপস্থাপিত করলেন সেদেশের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী শামশাদ আখতার।
তিনি জানান যে, রাজনৈতিক টানাপোড়েনই দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন যে, নগদ অর্থ সঙ্কটের মুখে থাকা পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনের (এসডিসি) ভাষণে মন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে পরিকাঠামোগত সংস্কারে বিলম্ব, দীর্ঘ পদক্ষেপ এবং বাহ্যিক ধাক্কা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির খাওয়ার খেয়ে অসুস্থ শতাধিক, ভর্তি হতে হল হাসপাতালে, তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়
অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে:
পাকিস্তানি মিডিয়া রিপোর্টে, আখতারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং নগদ সঙ্কটের মতো অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণে সেখানকার অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মন্ত্রী বলেন, সামগ্রিক ঋণ পরিস্থিতির কারণে ঝুঁকি বেড়েছে। দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজস্ব ও বাণিজ্যিক ঘাটতিও ঋণের অবস্থানকে দুর্বল করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেদেশে এফবিআর রাজস্বের তুলনায় ঋণ পরিশোধের খরচ ৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ বছর পর আমজনতার জন্য ঢেলে দিল ভালোবাসা, ১ লক্ষ কোটি টাকা বাজি লাগালো টাটা গ্রুপ
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে:
মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংবেদনশীলতা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের মডেলগুলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে আগামী দশকগুলিতে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। ২০৯০ সালের মধ্যেই গড় তাপমাত্রা ১.৩ শতাংশ বেড়ে ৪.৯ শতাংশ হবে। এর পাশাপাশি যদি পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির দিকে তাকানো হয় সেক্ষেত্রে এখন সেখানে রীতিমতো বিশৃঙ্খলা চলছে। পাকিস্তান, তার ইতিহাসে সবথেকে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে। যা প্রতিদিন তার জনগণের ওপর আঘাত হানছে।
বছরের পর বছর মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে:
কিছু সময় আগে, পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) জানিয়েছিল যে, পাকিস্তানের সাপ্তাহিক মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক ভিত্তিতে ৩৮.৬৬ শতাংশ বেড়েছে। যার প্রধান কারণ হল পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বৃদ্ধি। পিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের আগে সেনসিটিভ প্রাইস ইনডেক্সের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি ০.৯৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী পাকিস্তানের যে অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির বিষয়ে জানিয়েছেন তা এখন সমগ্ৰ বিশ্বের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।