বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) শুরুর আগেই, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পন্ন হতে চলা ম্যাচ নিয়ে ক্রীড়া ও রাজনৈতিক মহল উভয় ক্ষেত্রেই বিতর্ক চলছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, টিম ইন্ডিয়া আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে। এরপর আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, ক্রিকেট অনুরাগীদের একটি বড় অংশ চায় যে, ভারত কোনও টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলুক। কিছুজন এমনটাও দাবি করেছেন যে, ভারতের উচিত ICC বা অন্যান্য মাল্টি-নেশন ইভেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকা।
এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান:
BCCI নির্দেশিকা মেনে চলছে: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) সূচি ঘোষণার পর থেকেই অনেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতীয় দলের খেলার পক্ষে নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়। এই বিতর্কের আবহেই BCCI সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া মুখ খুলেছেন। NDTV-র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, বোর্ড সরকারের নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসরণ করছে এবং এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) টিম ইন্ডিয়ার অংশগ্রহণ সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাইকিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া বিভাগ ক্রিকেট হোক বা অন্য যেকোনও খেলায় ভারতীয় দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। সরকার নীতিমালা প্রণয়নের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। যাতে জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া সংস্থাগুলি নির্দেশ পায় এবং তার ভিত্তিতে মাল্টি-নেশন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ব্যান সোশ্যাল মিডিয়া! নেপালে Gen Z-এর তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে মৃত অন্তত ৯
তরুণ খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ: তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রীড়া সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করা সম্ভব নয়। এটি করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) বা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC)-এর মতো সংস্থাগুলি কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়াও, উদীয়মান খেলোয়াড়দের কেরিয়ারেও এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: “এই জয় আরও স্পেশাল, কারণ…”, হকি এশিয়া কাপে ভারতের জয়ে গর্বিত মোদী, জানালেন অভিনন্দন
সাইকিয়া বলেন, যদি কোনও দল মল্টি-নেশন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে। যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তরুণ খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে পড়বে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার সকল দিক মাথায় রেখে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে।