বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমাদের সমাজে বেশ কয়েকটি কুসংস্কারের মধ্যে কালো বিড়াল রাস্তা পার হলে পথচারীদের থেমে যাওয়া একটি অন্যতম। শুধু কালো বিড়াল নয়, সাদা বেড়াল বা যে কোনও ধরনের বেড়াল রাস্তা পারাপার করলে পথচারীরা গাড়ি থামিয়ে দেন কিংবা থেমে যান।কেউ ক্রস চিহ্ন আঁকেন আবার কেউ থুতু ফেলে দেন কিন্তু কেন? বাংলা সাহিত্যে বিড়ালকে ভূতের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, এমনকি বাংলা ভৌতিক গল্পে কালো বিড়ালকে অতৃপ্ত আত্মা বলে দেখানো হয়।
শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্ব জুড়ে কালো বিড়ালকে নিয়ে অসংখ্য অলৌকিক গল্প ও কাহিনি তৈরি হয়েছে। যেখানে কালো বিড়ালকে ডাইনি শয়তান বা দানবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ইউরোপের মতো দেশে বিড়ালকে অলৌকিক ও অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তাই কালো বিড়ালকে নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। শোনা যায় বহুদিন আগে যখন গরুর গাড়িতে গাড়ি টানা হত এবং মালপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া হত ঠিক তখন কালো বিড়াল যদি রাস্তা কেটে পার হতো তখন গরুদের মধ্যে এক অস্বস্তি লক্ষ করা যেত, তাই তখন থেকেই কালো বিড়াল রাস্তা পার হলে গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার রীতি শুরু হয় যা আজ কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে কেউ যদি শুভ কাজে যান সে ক্ষেত্রে কালো বিড়াল দেখে গেলে কাজটি সম্পন্ন হয় না বলেও মনে করা হয়। বলা হয় কালো বেড়াল নাকি দোষ কাটে। তবে যুক্তিবাদীরা বলছেন অন্য কথা। কালো বিড়ালের রাস্তা কাটা বা পার হওয়া মানে কু সংস্কার নয়। তাই বিড়াল জাতীয় প্রাণী অন্য প্রাণীদের দ্বারা তারা খায়, তাই মনে করা হয় বিরাটের পিছনে বড় কোনও প্রাণী রয়েছে। তাই দাঁড়িয়ে গেলে বিপদের সম্ভাবনা কম থাকে বলেই মনে করা হয়।