বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে যথেষ্ট তৎপর নয় মমতা সরকার ( mamata government) এমনটাই অভিযোগ করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী ( adhir ranjan Choudhury) । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া মানুষদের জন্য কেন মাত্র দুটি ট্রেনের দাবি জানাল রাজ্য তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সংসদে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তার দক্ষতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারনেই যে জাতীয় কংগ্রেস তাকে পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি বার বার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে তোপ দেগেছেন
তিনি এদিন বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রা্ন্তে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। প্রবল অর্থ সংকটে ভুগছেন। খাবার পাচ্ছে না। বাড়ি ফেরার সব রাস্তা বন্ধ। রাজ্যের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা আমাকে ফোন করে কাঁদছেন।”
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের স্বার্থে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সেখানেই রেলমন্ত্রীর মারফত তিনি জেনেছেন যে, রাজ্যের তরফে শ্রমিকদের ফেরাতে মাত্র ২ টি ট্রেনের আরজি জানানো হয়েছিল বাংলার তরফে। যা যথেষ্ট হতাশাজনক বলেই উল্লেখ করেন তিনি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই একটি ট্রেন রাজস্থান থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অপর ট্রেন এর্নাকুলাম থেকে আসছে বহরমপুরে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলা চালু করেছেন একটি টোল ফ্রি নম্বর। নম্বরে ফোন করে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিক-সহ ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পুণ্যার্থী, পর্যটক এবং পড়ুয়ারা। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে নোডাল অফিসার পিবি সেলিমকে নিয়োগ করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে নির্দেশ দিলেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবরা তাতে গররাজি ছিলেন। বিশেষ ট্রেন চালানোর দাবি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন তাঁরা। সেই দাবি মেনে নিয়ে শুক্রবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতে রেল মন্ত্রককে বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হল রেলকে।