বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার বিরোধী শিবিরের প্রস্তাব অনেক আগেই ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ট্যুইট করে বলেন, ‘আমি যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করছি, সেভাবেই কাজ চালিয়ে যেতে চাই।’ কিন্তু দেশের রাষ্ট্রপতির মতো সম্মানজনক পদে বসার লড়াইয়ে নামতে কেন অনিচ্ছুক তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। জানা যাচ্ছে মোট পাঁচটি কারণ এই সিদ্ধান্তের পিছনে কাজ করে থাকতে পারে।
হার নিশ্চিত তা জানেন তিনি
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মাস ছয়েক আগেও শরদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি পদের জন্য আশাবাদী ছিলেন। তখন বিরোধীদের হাতে থাকা ভোটের মূল্য বেশি ছিল তাঁর জয়ের জন্য। কিন্তু মার্চ মাসে হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির দারুণ সাফল্য পায়। অন্যদিকে নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডি এবং জগনমোহন রেড্ডির বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের পর তিনি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হারবেনই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এনসিপির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি কে?
শরদ পাওয়ারের পর দলের কাণ্ডারি কে হতে পারেন? শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সূলে, ভাইপো অজিত পাওয়ার, প্রবীণ নেতা ছগন ভুজবল বা প্রফুল প্যাটেলের নাম উঠে এলেও শরদের সমান কেউ নন। সেই শরদ পাওয়ার দল ও রাজনীতিতে ইতি টেনে রাষ্ট্রপতি ভবনে চলে গেলে এনসিপি-র ভবিষ্যৎ কী হবে সেটিও পাওয়ার চিন্তার বিষয় বৈকি।
মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের কী হবে?
শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের মেরুদণ্ড শরদ পাওয়ার, এটা সবাই জানেন। তাই উদ্ধব কখনও শরদ পাওয়ারকে দূরে ঠেলে দিতে চাইবেন না। তাছাড়া সম্প্রতি রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য লাভ করেছে। আবারও শক্তিশালী হতে শুরু করেছে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তাই এই সংকটের মুহুর্তে মহারাষ্ট্রে বিজেপি রুখতে পারেন একমাত্র শরদ পাওয়ারই। তা পাওয়ার নিজেও জানেন।
ইডির জালে পাওয়ার
মহারাষ্ট্রে একটি সমবায় ব্যাংকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলায় নাম আছে শরদ পাওয়ার এবং তাঁর ভাইপো অজিতেরও। ইডির জালে জড়িয়েছেন এনসিপির একাধিক নেতাও। তাই পাওয়ার বিজেপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হলে এজেন্সির অভিযান আরও বেড়ে যাবে। এনসিপিকে ইডি কামড় থেকে বাঁচাতেই পাওয়ারের নির্বাচন থেকে সরে আসার চিন্তাভাবনা।
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক
শরদ পাওয়ার যতই বিজেপি বিরোধী শিবিরের বৈঠকে যোগ দিন আদতে কিন্তু সরাসরি বিজেপির বিরোধীতা কখনোই করেননি তিনি। তাই পুরোপুরি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে কখনোই চাইবেন না শরদ পাওয়ার।