বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লিখে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তারপরেই ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন এই যুগল। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভ এখন সকলের কাছেই কম বেশি পরিচিত। ফেসবুক লাইভ থেকে নিজের জীবনের নানা কথা সকলের সামনে আনেন তারা। গতদিনের এই ফেসবুক লাইভ থেকে নারোদা মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার কান্ড এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শোভন। আর তারপরেই নিজের স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখীকে লিখে দেন তিনি।
এর পরেও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। একদিকে যেমন বৈশাখীর নাম শোভন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ে পরিবর্তন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক তেমনি অন্যদিকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সম্পত্তি নিয়েও। ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ, অন্যদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী দিনে শোভন কোন বিপদে পড়লে আর পাশে দাঁড়াবেন না তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ বৈশাখীকে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিলেন শোভন? আজ ফেসবুকে নিজেই সেকথা খোলাসা করলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নের উত্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, তার মালিকানা কার? আমার বেহালায় একটা বাড়ি আছে, সন্তোষপুর সরকারি কলোনিতে বেশ কিছু জমি আছে যার ওপর কিছু গোডাউন রয়েছে। এর সমস্ত দখল করে রত্না চট্টোপাধ্যায়, তার পরিবার দুলাল দাস ও ভাই শুভাশীষ দাশ সেটাকে ভোগ করছে। বহু অর্থ আমার মাসে পাওনা রয়েছে ব্যাংক স্টেটমেন্ট পরীক্ষা করলেই তা দেখা যাবে, কিন্তু তা আমি পাচ্ছি না। বিভিন্নভাবে ওরা অধিকার বর্তানোর চেষ্টা করছে। সেটা পরিষ্কার করতেই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি একটা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি, একটা উইল এবং প্রয়োজনে একটি ডিল প্রসেস করে নেব। যাতে এগুলো কোনো অপব্যবহার না হতে পারে।”
সাথে সাথেই তিনি জানান, তার বৈশাখীর উপরে সেই বিশ্বাস রয়েছে। এছাড়া তিনি সম্পর্ককেও মর্যাদা দিতে চান আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিন একইসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন শোভন। তিনি পরিষ্কার জানান, “আমি হাতজোড় করে বলছি আপনি অনুগ্রহ করে না আসলে আমি আগে যদি কোনদিন আপনার দ্বারা উপকৃত নাও হয়ে থাকি এবার উপকৃত হব।” সাথে সাথে তিনি এও জানান সকলের জানা উচিত এধরনের কথা রত্না কোনও মানসিক বিকার থেকে বলছেন নাকি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বলছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের কোন উত্তর অবশ্য রত্না এখনও দেননি। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে এখন এই ত্রিকোণ প্রেমের দ্বন্দ্ব যে আরেক জটিল সমীকরণ সৃষ্টি করেছে তা বলাই বাহুল্য।