‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পে থেকে কেন” … তোপের মুখে রাজ্য সরকার! হলফনামা তলব হাইকোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা, এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্ট (Highcourt) এবার হলফনামা চাইল রাজ্যের কাছে। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিকল্প ব্যবস্থা রাজ্য সরকার গ্রহণ করলেও, তা কখনই সমকক্ষ নয়।

কেন এ রাজ্যের বাসিন্দাদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এই বিষয়ে রাজ্যকে জবাব দিতে হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে। প্রধান বিচারপতি এ প্রসঙ্গে সোমবার বলেছেন, “রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ করে তৈরি করেছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র,’ এর কাজ স্পষ্ট নয় আদালতের কাছে। কেন রাজ্য সরকার এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করল তাও পরিষ্কার নয় আদালতের কাছে।”

আরোও পড়ুন : লোকনাথ বাবার ছবির পিছনে রয়েছে বড় রহস্য! জেনে নিন সেই কাহিনী

রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে, এই বিষয়ে অভিযোগ তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ (সিএসসি) বন্ধ করে দিয়েছে।

আরোও পড়ুন : মৎস্যপ্রেমীদের জন্য সুখবর! ঝেঁপে বৃষ্টি নামতেই সস্তা মাছ বাজার, জানুন কততে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

এ রাজ্যে বন্ধ হয়েছে প্রায় চল্লিশ হাজার ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ (সিএসসি)। এর পরিবর্তে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র।’ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। কেন্দ্রের এই উদ্যোগ যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো হত তাহলে বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কর্মসংস্থান হত প্রায় দেড় লক্ষ যুবক-যুবতীর।

রাজ্যের সিদ্ধান্তের ফলে বঞ্চিত হয়েছেন বেকাররা। সুকান্ত মজুমদার হাইকোর্টের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে আবার রাজ্যে চালু করা হয় এই সুবিধা। রাজ্যের মানুষ বিভিন্ন রকম ভাবে প্রায় ২০০ টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পান, সেই লক্ষ্যে পঞ্চায়েতের অফিসগুলিতে চালু করা হয়েছিল ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ (সিএসসি)।

download 13

 

 

রাজ্য সরকার এই পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ২০২০ সালে। অন্যদিকে, বিচারপতি আজ এও বলেন যে সুকান্ত মজুমদার এত বছর পর কেন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন? বিচারপতির মন্তব্য, “উনি তো সাংসদ। বিষয়টি সংসদে তুলতেই পারতেন।” তবে, হাইকোর্টের তরফে হলফনামা তলব করার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি।

ad

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর